ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই চারটি ব্যায়াম

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ১৭ জুন ২০২৫

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই চারটি ব্যায়াম

ছবিঃ সংগৃহীত

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে তা দানার মতো জমে অস্থিসন্ধিতে সঞ্চিত হয়। এতে সন্ধিতে প্রদাহ, ফোলা, লালচে ভাব এবং তীব্র ব্যথা দেখা দেয়, যা গাউট বা গেঁটে বাত নামে পরিচিত। তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।

কিডনি সমস্যা, স্থূলতা ও মেটাবলিক সিনড্রোম ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়। যেসব খাবার ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়, যেমন লাল মাংস, ডাল, শিম, বরবটি, কচু, পুঁইশাক, টমেটো, ফুলকপি ও অ্যালকোহল—সেগুলো পরিমিতভাবে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বা সন্ধি প্রদাহ দেখা দিলে মেডিসিন বা বাত রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ এবং ব্যথা কমাতে ফিজিওথেরাপি নেয়া যেতে পারে।

এখন দেখে নেওয়া যাক, কোন ব্যায়ামগুলো ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে:

১. অ্যারোবিক ব্যায়াম

হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো বা নাচের মতো হালকা ব্যায়াম ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সহায়ক। শুরুতে ১০ মিনিট করে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত করা উচিত, সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন। ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

২. সাঁতার

সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ১৫ মিনিট করে সাঁতার কাটা শুরু করতে পারেন। সময় বাড়িয়ে তা ৩০–৪৫ মিনিট পর্যন্ত করা যেতে পারে।

৩. স্ট্রেচিং

হাতের কবজি মুষ্টিবদ্ধ করে ঘড়ির কাঁটার মতো ও বিপরীত দিকে ঘোরান। প্রতিটি দিকে ৩০ সেকেন্ড করে ১০ বার করুন। একইভাবে কাঁধ ও অন্যান্য সন্ধির নড়াচড়া করান।

৪. পায়ের পাতা ধরার ব্যায়াম

মাটিতে বসে পা সোজা করে হাত দিয়ে পায়ের পাতা ধরার চেষ্টা করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে রেখে ছেড়ে দিন। এভাবে ১০ বার করুন।

যদি অস্থিসন্ধিতে ব্যথা বা ফোলা থাকে, তাহলে ঠান্ডা সেঁক বা বরফের সেঁক দেওয়া যেতে পারে। তবে ইউরিক অ্যাসিড অনেক বেশি বেড়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

নিয়মিত ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্যাভ্যাসই হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

মুমু

×