ছবি: সংগৃহীত
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকর সংঘাতে উভয়পক্ষই ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া ছিল বিস্ময়কর, তবে ইসরাইল বলছে—তাদের চালানো হামলা ছিল "আরো ভয়াবহ ও কৌশলগত"।
🔥 পারমাণবিক হুমকি রুখতেই হামলা: ইসরাইলের দাবি
ইসরাইল সরকার জানিয়েছে, তারা ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় সফলভাবে হামলা চালিয়েছে, যা ছিল সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক। তাদের ভাষ্যমতে, ইরান নিকট ভবিষ্যতে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারে—এমন হুমকি প্রতিহত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
😶 মুসলিম বিশ্বে নীরবতা, তবে ব্যতিক্রম ২১ দেশ
যদিও হামলার পরপরই মুসলিম বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, তবে এবার মিশরের নেতৃত্বে ২১টি মুসলিম দেশ একসঙ্গে সরব হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, এই দেশগুলো ইসরাইলের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
🕊️ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান
এই দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,
"এ অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার বন্ধ করতে হবে এবং সংঘাতের সমাপ্তি জরুরি। যুদ্ধ এখনই থামানো উচিত।"
তারা মধ্যপ্রাচ্যকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে যোগদানের জন্য সব রাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে।
🏛️ স্বাক্ষরকারী ২১টি দেশ:
আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, চাঁদ, কমোরোস, জিবুতি, মিশর, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুর্কি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলের এই একতরফা হামলা মধ্যপ্রাচ্যের ভৌগোলিক ভারসাম্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আর মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান একটি নতুন কূটনৈতিক গতিপথের ইঙ্গিত হতে পারে।
আঁখি
