
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে ফের যুদ্ধের দামামা। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতে দ্রুত বাড়ছে সহিংসতা, প্রাণহানি এবং ধ্বংসযজ্ঞ। সোমবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সেন্টার আইআরআইবিতে ইসরায়েলের চালানো হামলার জবাবে সরাসরি প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। দেশটির দাবি, মাত্র পাঁচ দিনে ইসরায়েলের ভুখণ্ডে ছোড়া হয়েছে প্রায় ৩৮০টি মিসাইল ও ড্রোন।
ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই প্রতিক্রিয়া ছিল কেবল শুরু, ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ হামলা চালানো হবে। ইরান দাবি করেছে, এই পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন।
অন্যদিকে ইসরায়েলও থেমে নেই। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে বাহিনী পাল্টা অভিযান চালাচ্ছে ইরানের অভ্যন্তরে। রাজধানী তেহরানসহ একাধিক এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। বোমার আঘাতে কেঁপে উঠেছে তাবরিজ, তেহরান এবং অন্যান্য শহর। সোমবারের হামলায় একটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবন ও হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং মৃত্যু হয়েছে অন্তত তিনজন গণমাধ্যমকর্মীর।
ইরানের বিভিন্ন বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনাও ইসরায়েলের হামলার টার্গেট হয়েছে। দেশটির আকাশসীমার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েল অভ্যন্তরীণ এলাকাতেও অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে তেহরান।
তেহরানে আতঙ্ক ও ভীতির পরিবেশ ছড়িয়ে পড়েছে। রাজধানী ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সাধারণ নাগরিকরা। শহরের আশপাশের রাস্তায় দেখা গেছে তীব্র যানজট।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বকে তুলনা করেছেন "ক্যান্সারের" সঙ্গে। তিনি বলেন,
“তারা ক্যান্সারের মতো। আপনি যদি জানেন ক্যান্সারের কারণে আপনার মৃত্যু হবে, আপনি অবশ্যই চিকিৎসা করবেন। আমাদের এই যুদ্ধও তেমন।”
সংঘাত যত গভীরে যাচ্ছে, তত বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৪ জন ইসরায়লি ও ২৫০’র বেশি ইরানি নাগরিক।
বিশ্লেষকদের মতে, এ সংঘাত কেবল ইসরায়েল-ইরান সীমিত থাকবে না, বরং এতে জড়িয়ে পড়তে পারে পুরো মধ্যপ্রাচ্য। প্রতিদিনের হামলা-পাল্টা হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
ছামিয়া