
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ‘ফোরডো’তে বোমা হামলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলার জন্য ব্যবহার হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাংকার-বাস্টার বোমা Massive Ordnance Penetrator, যেটি একমাত্র বি-টু স্টিলথ বোমারু বিমানে বহনযোগ্য। অর্থাৎ এই হামলা হবে অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং শক্তিশালী।
টাইমস বলছে, ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে চলমান পাঁচ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফোরডোর স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দিতে ইসরাইলকে সহায়তার বিষয়ে চিন্তা করছেন। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এক সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।
মুখে কূটনীতি, পদক্ষেপে চাপ
যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরকার আগেই জানিয়ে এসেছে, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক অভিযানে তারা অংশ নেয়নি এবং নেবেও না—তবুও হোয়াইট হাউসের কিছু সাম্প্রতিক অবস্থান ও ট্রাম্পের মন্তব্য এই অবস্থানকে ঘোলাটে করে তুলেছে।
একদিকে ইরানি কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইরানের সামরিক স্থাপনায় মার্কিন সম্পৃক্ততা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিকে ধ্বংস করে দেবে। অন্যদিকে ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন, তিনি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখতে চান।
আলোচনার ইঙ্গিতের মাঝেও হুমকি
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরে কূটনৈতিক ও সামরিক পথ বেছে নেওয়া নিয়ে বিভাজন রয়েছে। একপর্যায়ে ট্রাম্প তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যানসকে ইরানিদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিতেও উৎসাহিত করেন।
তবে পরিস্থিতি দ্রুত মোড় ঘোরায় সোমবার, যখন ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “ইরানিদের অবিলম্বে তেহরান ত্যাগ করতে হবে”—যা কূটনীতির পথে নয়, বরং চাপ সৃষ্টির কৌশল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, যদি ট্রাম্প সত্যিই শান্তিপূর্ণ সমাধান চান এবং যুদ্ধ এড়াতে আগ্রহী হন, তাহলে আলোচনার পথ এখনো উন্মুক্ত।
হোয়াইট হাউসে জরুরি প্রস্তুতি, জি-৭ সম্মেলন ত্যাগ ট্রাম্পের
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জি-৭ সম্মেলন তাড়াতাড়ি ত্যাগ করছেন এবং “তাৎক্ষণিক একটি পদক্ষেপ” নিতে যাচ্ছেন। যদিও কী পদক্ষেপ—তা নিয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি ট্রাম্প হামলার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইরান বিরোধী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে না, বরং বিশ্ব কূটনীতিতে একটি বড় ধরনের অনিশ্চয়তার সূত্রপাত ঘটবে।
সূত্র: https://youtu.be/uKuhsDOD5y4?si=gZY1ILdmTVXok1Pd
আঁখি