
"মানুষ মারা যাওয়ার পর অন্ধকার কবরে চলে যায়, কিন্তু আমি বেঁচে থেকেও পৃথিবীটা অন্ধকার দেখি না।" — এই মর্মস্পর্শী কথাগুলো বলেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা গোলাম কিবরিয়া, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।
সোমবার বড় ও ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হন কিবরিয়া। সেখানে তিনি নিজের বেদনাদায়ক ঘটনার বিবরণ দেন ।
কিবরিয়ার ভাষ্যমতে, ২০১৬ সালের ২১ জুলাই কুমিল্লা শহরের রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অভিযুক্তরা ছিলেন তৎকালীন কুমিল্লার এমপি এবং আওয়ামী লীগ নেতা এম এ জাহের ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবু তৈয়ব। অপহরণের পর তাকে প্রথমে কুমিল্লার বাগিচাগাঁওয়ে একটি বাড়িতে এবং পরে এমপি জাহেরের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
তিনি জানান, নির্যাতনের চূড়ান্ত পর্বে সকাল বেলায় তার দুই চোখ ছুরি দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়। সেই মুহূর্ত থেকে দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারান কিবরিয়া।
তিনি বলেন, “আপনারা চাইলে আমার চোখ ফেরত দিতে পারবেন না, কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন। আমি চাই, আমার মতো যারা নিপীড়নের শিকার, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদেরও যেন বিচার হয়।”
প্রসিকিউশন কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
সানজানা