ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

তোমার চোখে ডুব দিয়ে বুঝেছি, আমি তো গোটা পৃথিবী জয় করে ফেলেছি: চমক

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২৩ জুন ২০২৫

তোমার চোখে ডুব দিয়ে বুঝেছি, আমি তো গোটা পৃথিবী জয় করে ফেলেছি: চমক

ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক ও তার স্বামী আজমান একসঙ্গে পার করেছেন তাদের বৈবাহিক জীবনের প্রথম বছর। আলোচনার জন্ম দেওয়া সেই বিয়ের এক বছর পরও তারা এক ছাদের নিচে ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পথচলা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিয়ের পর স্বামীর অতীত নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও তাতে কান দেননি চমক। বরং, ভালোবাসা আর বিশ্বাসে এগিয়ে গেছেন দু’জনে। ২০ জুন ছিল তাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে স্বামীর সঙ্গে তোলা কিছু মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছেন চমক।

ফেসবুক পোস্টে চমক লিখেছেন, ‘প্রিয় স্বামী, বর, কান্ত, অধিপতি— আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীর অনেক শুভেচ্ছা। টোনাটুনির সংসার কীভাবে এক বছর পেরিয়ে গেল, বুঝতেই পারিনি। একসময় ভাবতাম গোটা পৃথিবী জয় করবো, আনবো পরিবর্তন। কিন্তু এখন শুধু বনলতা হয়ে খুঁজি একটু শান্তি। তোমার বুকে, তোমার চোখে ডুব দিয়ে বুঝেছি— আমি তো গোটা পৃথিবীই জয় করে ফেলেছি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এই ছন্নছাড়া, প্রাণহীন পৃথিবীতে তুমি আমার সবচেয়ে আপন মায়ার জায়গা। আমার সব ভালোবাসায় তোমাকে জয় করেছি। এই ভেজাল আর মিথ্যের শহরে তুমি আমার রঙিন স্বপ্ন। ক্লান্ত এই শহরের মাঝেও তুমি আমার আনন্দময় সংসার। আমি তোমাকে ছায়াপথ সমান ভালোবাসতে চাই। আচ্ছা, কেউ কি ছায়াপথের দৈর্ঘ্য মেপেছে কখনো?’

চমকের প্রেমভরা বার্তায় ছিল আরও চমক। নিজের লেখা একটি কবিতা পড়ে স্বামীকে উৎসর্গ করেছেন তিনি, ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তাদের ভালোবাসার নানা মুহূর্ত।

ভিডিওতে চমক বলেন, ‘তোমার সঙ্গে কাটানো একটি বছর কখন যেন আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলে গেল। মনে হয় এই তো গত রাতেই তুমি সাদা শার্ট পরে হাতে গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলে আমার সামনে। মুখে কিছু না বললেও চোখে স্পষ্ট ছিল ভালোবাসা।’

তিনি বলেন, ‘এক বছর কেটে গেল, মনে হচ্ছে মাত্র একটা সুন্দর দিন কেটেছে। এমনকি পুরো জীবনটাও যদি এক মাসের ছুটির মতো কাটে, তবুও আমার আফসোস থাকবে না। কারণ, আমি যা ভালোবাসা আশা করেছিলাম, তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি।’

ভিডিওতে চমককে শাড়ি পরে স্বামীর হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে বলতে শোনা যায়, ‘এখন যদি কেউ জিজ্ঞেস করে— গন্তব্য না রাস্তা? আমি বলবো, সঙ্গী। কোথায় যাচ্ছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কার সঙ্গে যাচ্ছি সেটাই আসল।’

সবশেষে চমকের আবেগঘন স্বীকারোক্তি, ‘তোমার সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত একেকটি উৎসব। দু’কাপ চা হাতে সূর্যাস্ত দেখা যেন প্যারিসের কোনো বিকেল উপভোগ করার মতো। প্রেমিকের প্রশস্ত কাঁধই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। এখন মনে হয়, যদি এই মুহূর্তে মৃত্যুও আসে, কোনো আক্ষেপ থাকবে না— কারণ, জীবনে যে ভালোবাসা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি পেয়েছি তোমার কাছ থেকে।’

আসিফ

×