
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাসার। টেলিভিশন নাটক ও ওয়েব সিরিজের মধ্য দিয়ে দর্শকের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ছোটপর্দার বাইরে সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে। বর্তমানে তিনি ঈদের নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ক্যারিয়ার ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে আনন্দকণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেতা...
ঈদের বাকি আর বেশিদিন নেই। ঈদের কাজের ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?
এবার ঈদে নাটক কম নির্মাণ হচ্ছে। এছাড়া আমি নিজেও কম কাজ করছি। যে কটি কাজ করলাম এগুলোর গল্প ও চরিত্র ভালো লাগায় কাজ করেছি। এরমধ্যে ঈদেও জন্য আল মাসুদের ‘অবুঝ বায়না’, সেতু আরিফের ‘অভিমান’ তন্ময় পারভেজের ‘বুক ভরে নিঃশ্বাস নাও’ এবং মাকসুদুর রহমান বিশালের ‘আগলে রেখো আমায়’ নাটকের কাজ শেষ করেছি। আরও কয়েকটি কাজ কয়েকদিনের মধ্যে শেষ করব।
বলেছেন, এবার ঈদে নাটক কম নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু কেন?
আমাদের দেশে এখন রাজনৈতিক যে পরিবশে এতে তেমন কেউ বিনিয়োগ করার জন্য এগিয়ে আসছে না। গেল ঈদের সময় অনুমান করেছি, এবার নাটক নির্মাণের সংখ্যা হয়ত কমবে। এখন ঠিক তাই হচ্ছে। সত্যি বলতে কি নির্বাচিত সরকার ছাড়া কেউ কোথাও ঠিক মতো পৃষ্ঠপোষকতা করবে না।
ছোট পর্দার বাইরে অন্য কাজের খবর কী?
ওটিটির জন্য এখন নতুন কোনো কাজ নেই। তবে তিনটি সিনেমা এখন আমার হাতে আছে। এগুলো সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছে। সিনেমাগুলো হলো মাসুদ হাসান উজ্জলের ‘বনলতা সেন’, অনম বিশ্বাসের ‘ফুটবল ৭১’ ও নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘সাড়ে তিন হাত ভূমি’।
ছোট পর্দার অনেকে বাণিজ্যিক সিনেমায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আপনাকে দেখা যাবে?
গল্প নির্ভর সিনেমাগুলোতেই কাজ করতে আরাম পাই। তাই এখন বাণিজ্যিক সিনেমা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু এর মানে এই না, আমি বাণিজ্যিক সিনেমায় কাজ করব না। তার জন্য হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
শোবিজের অনেক তারকা রাজনীতির সঙ্গে জড়াচ্ছেন। এটিকে কীভাবে দেখছেন?
আমি মনে করি, কেউ যদি রাজনীতি করতে চায় তাহলে সেখানেই তিনি যেন থাকেন। এখন তারকার ট্যাগ নিয়ে রাজনীতিতে গিয়ে কেউ কেউ শুধু তেলচর্চা করছেন। নিজেদের সুযোগ-সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করছেন। বিগত সরকারের সময়ও আমরা এমন অনেক শিল্পীকে দেখেছি। এসব কারণে আজকাল সাধারণ মানুষ শোবিজের তারকাদের অন্য রকমভাবে দেখছেন।
এ সময়ে এসে কেমন বাংলাদেশ দেখছেন?
তরুণ প্রজন্ম যে স্বপ্ন নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ছিলেন, সেটি হচ্ছে না। গত কয়েক মাসে সংস্কারের কোনো কিছুই দেখিনি। শুধু কিছু সেক্টরে মানুষ পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু তাদের স্বভাবে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমি মনেকরি, নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত এমনটা চলতেই থাকবে। তাই যত দ্রুত নির্বাচন হবে সেটিই সবার জন্য ভালো মনেকরি।
প্যানেল