
ছবি: সংগৃহীত
২০১২ সালে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে বিয়ে করেন মারিয়া মিম, যিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং স্পেনের নাগরিক। ভালোবাসার টানে গাঁটছড়া বাঁধা এই দম্পতির ঘর আলো করে ২০১৩ সালে জন্ম নেয় একমাত্র সন্তান আরশ হোসেন।
তবে সুখের সেই সংসারে ছেদ পড়ে ২০১৯ সালের শেষ দিকে, যখন তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের পর থেকে ছেলে আরশকে নিজের কাছেই রেখেছেন বলে জানান মিম। বর্তমানে কখনো বাংলাদেশ, আবার কখনো স্পেনে, নিজে এবং সন্তানের জীবন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিম দাবি করেন, সন্তানের যাবতীয় খরচ তিনিই বহন করছেন, আর সিদ্দিক কোনোভাবেই আরশের ভরণপোষণে অংশ নেন না। তার ভাষায়, “সিদ্দিক কেবল ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে এটা বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, সন্তান তার কাছেই থাকে। অথচ বাস্তবে ছয় মাসে একবার, তাও এক-দুই দিনের জন্য আরশ তার বাবার কাছে যায়।”
মিমের অভিযোগ, সিদ্দিক ‘পলিটিক্যাল’ আচরণ করছেন সন্তানের সঙ্গে। তিনি বলেন, “যখন বাচ্চা ওর কাছে যায়, সে অনেকগুলো ছবি তোলে, এরপর ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে সেগুলো আপলোড করে। এতে সাধারণ মানুষ মনে করে, সন্তান তার সঙ্গেই থাকে। অথচ পুরো সময়টাই আরশ আমার সঙ্গেই থাকে। আমি বিদেশে গেলেও তাকে নিয়েই যাই।”
মিম আরও বলেন, সন্তানের মানসিক উন্নতির কথা ভেবে তিনি ছেলেকে মাঝে মাঝে বাবার কাছে যেতে দেন। তবে তিনি লক্ষ্য করেছেন, সেখানে গিয়ে ছেলে মানসিকভাবে প্রভাবিত হয়।
তার অভিযোগ: “বাবার কাছ থেকে ফিরে এসে আরশ বলতো, ‘মাম্মি, বাবা তোকে যেতে নিষেধ করেছে।’ এমন মানসিকতা তৈরি করা ঠিক নয়। আদালত বলেছিল আরশ তার বাবার কাছে যেতে পারবে, তবে রাতে সেখানে থাকতে পারবে না। আমি সেটাও অমান্য করে তাকে এক-দুইদিন রেখে আসতাম। কিন্তু এমন প্রভাব দেখে সেটা আর করছি না।”
এই মন্তব্যগুলো ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে মিমের পক্ষে সমর্থন জানালেও কেউ কেউ বিষয়টিকে ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর বলে মনে করছেন এবং দুই পক্ষকেই সন্তানকে কেন্দ্র করে আরও দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানাচ্ছেন।
ফারুক