
সহকারী শিক্ষক
কড়ই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
আদমদীঘি, বগুড়া
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন ১। সুষম খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর : যে খাদ্যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের সবগুলোই পরিমাণ মতো থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে।
প্রশ্ন ২। খাদ্য সংরক্ষণ কী?
উত্তর : খাদ্য অপচয় রোধ ও দ্রুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করাই হল খাদ্য সংরক্ষণ।
প্রশ্ন ৩। খাদ্য সংরক্ষণের একটি উপায় লেখ।
উত্তর : চাল, ডাল, গম ইত্যাদি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
প্রশ্ন ৪। খাদ্য সংরক্ষণের একটি সুবিধা লেখ।
উত্তর : খাদ্যাংশ সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ৫। খাবারে কৃত্রিম রং মেশানো হয় কেন?
উত্তর : খাবারকে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করতে কোনো কোনো খাবারে কৃত্রিম রং মেশানো হয়।
প্রশ্ন ৬। কৃত্রিম রং মেশানো দুটি খাবারের নাম লেখ।
উত্তর : মিষ্টি ও আইসক্রিম।
প্রশ্ন ৭। কৃত্রিম রং মেশানো খাবার মানুষের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। একটি রোগের নাম লেখ।
উত্তর : কৃত্রিম রং মেশানো খাবার মানুষের ক্যান্সার রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
প্রশ্ন ৮। খাবার সংরক্ষণের জন্য কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : ফরমালিন।
প্রশ্ন ৯। ফল পাকানোর জন্য কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : কার্বাইড।
প্রশ্ন ১০। জাঙ্ক ফুড কী?
উত্তর : যে ফুডে অত্যাধিক চিনি, লবন ও চর্বি থাকে যা আমাদের শরীরে খুব সামান্যই দরকার হয় তাকে জাঙ্ক ফুড বলে।
প্রশ্ন ১১। দুটি জাঙ্ক ফুডের নাম লেখ।
উত্তর : বার্গার ও পিজা।
প্রশ্ন ১২। আশিক জাঙ্ক ফুড খায়। এতে তার কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন ১৩। ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। একটি রোগের নাম লেখ।
উত্তর : ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে যকৃত অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন ১৪। কী অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে?
উত্তর : আমাদের বয়স ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সঠিক পরিমানে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর :
১। বয়স ও কাজ অনুযায়ী পরিমিত খাদ্য গ্রহণের তিনটি গুরুত্ব লেখ। প্রয়োজনের তুলনায় কম ও বেশি খাওয়ার দুইটি করে ক্ষতিকর দিক লেখ।
উত্তর : বয়স ও কাজ অনুযায়ী পরিমিত খাদ্য গ্রহণের তিনটি গুরুত্ব হলো নি¤œরূপ:
(র) শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে।
(রর) শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ঘটে।
(ররর) দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রযোজনের তুলনায় কম খাওয়ার দুটি ক্ষতিকর দিক নিচে দেওয়া হলো-
(র) দেহ পুষ্টিহীনতায় ভোগে।
(রর) দেহের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়ার দুটি ক্ষতিকর দিক হলো-
(র) ওজনজনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
(রর) হজম ক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
২। খাদ্য সংরক্ষণ কী? খাদ্য সংরক্ষণের দুটি গুরুত্ব লেখ। খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি উপায় উল্লেখ কর।
উত্তর: খাদ্য অপচয় রোধ ও দ্রুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করাই হচ্ছে খাদ্য সংরক্ষণ।
খাদ্য সংরক্ষণের দুটি গুরুত্ব হলো-
(র) খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌসুমী খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়।
(রর) খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে অনেক দুরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায়।
খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি উপায় হলো নি¤œরূপ-
(র) রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা।
(রর) ফ্রিজে বা হিমাগারে রেখে সংরক্ষণ করা।
(ররর) লবণ বা বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করা।
৩। কৃত্রিম রং মেশানো হয় এমন দুটি খাবারের নাম লেখ। কৃত্রিম রং মেশানো খাবার খাওয়ার চারটি ক্ষতিকর দিক লেখ।
উত্তর: কৃত্রিম রং মেশানো হয় এমন দুটি খাবারের নাম হলো-(র) মিষ্টি ও (রর) চকলেট
কৃত্রিম রং মেশানো খাবার খাওয়ার চারটি ক্ষতিকর দিক হলো-
(র) ক্যান্সার রোগ হতে পারে।
(রর) অমনোযোগিতা ও অস্থিরতা রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
(ররর) পুষ্টিহীনতা দেখা দিতে পারে।
(রা) বৃক্ক ও যকুত অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
৪। তিনটি জাঙ্ক ফুডের নাম লেখ। জাঙ্ক ফুড খেলে কী হতে পারে এ সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর: তিনটি জাঙ্ক ফুডের নাম হলো-
র) বার্গার রর) পিজা ররর) পটেটো চিপস
জাঙ্ক ফুড খেলে যা হতে পারে তা তিনটি বাক্যে নিচে দেয়া হলে-
(র) পুষ্টিহীনতা হতে পারে।
(রর) অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হতে পারে।
(ররর) অস্থিরতা রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
৫। কার্বাইড কী? কার্বাইড ব্যবহার করে পাকানো ফল খেলে কী হতে পারে-এ সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : কার্বাইড এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ।
কার্বাইড ব্যবহার করে পাকানো ফল খেলে যা হতে পারে তা তিনটি বাক্যে নিচে উল্লেখ করা হলো-
(র) বৃক্ক অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
(রর) যকৃৎ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
(ররর) ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে।
(রা) অমনোযোগিতা ও অস্থিরতা রোগ হতে পারে।