
‘ভিনগ্রহী’
স্কুল শিক্ষার্থী লামিয়া হান্নান স্নেহার হাতে শোভা পাচ্ছে নিজের লেখা সাইন্স ফিকশন ‘ভিনগ্রহী’। ধানমণ্ডির রায়েরবাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্নেহা করোনাকালীন অলস সময়ে মাথায় ঘুরপাক খাওয়া চরিত্র নিয়ে বসে পড়েন লেখার কাজে। লিখতে শুরু করেন সায়েন্স ফিকশন ‘ভিনগ্রহী’।
মজার বিষয় হলো, বইয়ের লেখক, ক্যারেক্টার আর্টিস্ট সবাই ছিলেন কিশোর কিংবা কিশোরী। বইটিতে কাজ করার মাধ্যমে সবাই নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ পেয়েছেন।
বই লিখতে শুরু করার পর তিনমাস পর মা কে জানালেও বাবাকে জানাননি স্নেহা। প্রথমদিকে আপত্তি থাকলেও বই প্রকাশের পর সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন স্নেহার বাবা।
কিশোরী এই লেখিকা স্নেহা বলেন, ‘সাইন্স ফিকশন’ বলতে যে শুধু গ্যালাক্সি এবং ব্ল্যাকহোল জগতকে বুঝানো হয় না তার একটি বিশেষ উদাহরণ ‘ভিনগ্রহী’। যেহেতু আমার কোন পাঠক ছিল না তাই বইয়ের প্রি-অর্ডার হয়েছিল মাত্র ১টি। প্রতিদিনই বইমেলায় যেতাম আমি। বইমেলা শুরুর প্রথম দিন থেকেই আমার একটাই স্বপ্ন ছিল, বইটি যেন সবাই একটু পড়ে দেখে।
বইমেলা বই এলে সাড়া পেতে শুরু করি। এমনকি বইমেলার শেষ দুদিন স্টক আউট ছিল বইটি। ‘ভিনগ্রহী’ পাঠকমনে জায়গা করে নিয়েছে এটাই আমার প্রাপ্তি।
ইয়াসির আলীর প্রচ্ছদে জ্ঞানকোষের প্রকাশনায় এই সায়েন্স ফিকশনের মূল চরিত্রের নাম ‘গর্ব’। পৃথিবীতে বাস করলেও গর্ব প্রকৃতপক্ষে কোন মানুষ নন। সে অন্যরকম চরিত্রের অধিকারী এবং সে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জাতি। গর্বের জগতের সকলেরই আছে অলৌকিক কিছু ক্ষমতা। আর সেই ক্ষমতার প্রশিক্ষণের জন্যও আছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান।
তবে এই অলৌকিক ক্ষমতা যদি কাল হয়ে যায়, যদি অভিশাপ হয়ে যায় সমগ্র মানব জাতির জন্য তখন কি হতো? পৃথিবী কি ধ্বংস হয়ে যেত? ‘ভিনগ্রহী’ মূলত অজানা জগতের একদল কিশোর-কিশোরীর যুদ্ধের গল্প। হাজার বছরের রহস্যকে উন্মোচন এবং অপেক্ষার গল্প। এমন এক জাতির গল্প, যারা মানুষের মতো আকৃতির হলেও দানবের মতো কিছু অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। যারা মানুষের অজান্তেই পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে যুক্ত।