ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে মোট ১৩০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের চারটি গুরুত্বপূর্ণ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিগুলোর মূল লক্ষ্য হলো দেশের আধুনিক অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জং এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই চুক্তির আওতায় সবচেয়ে বড় বরাদ্দ ৫০০ মিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে ‘ব্যাংকিং খাত স্থিতিশীল ও সংস্কার কর্মসূচি (সাব-প্রোগ্রাম ১)’ বাস্তবায়নে, যার মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতকে কাঠামোগতভাবে শক্তিশালী করা হবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেবে অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
৪০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা ‘জলবায়ু সহনশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচি (সাব-প্রোগ্রাম ২)’ প্রকল্পের আওতায় ব্যয় হবে, যার মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যৌথভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করবে। এর মধ্যে রয়েছে পরিকল্পনা কমিশন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ একাধিক সংস্থা।
এছাড়া, ‘সাসেক নর্থ-ওয়েস্ট করিডোর ফেজ ২’ প্রকল্পের অধীনে এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কের উন্নয়নে ২০৪ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে চলমান রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এই প্রকল্পে এডিবির মোট বিনিয়োগ দাঁড়াল ১.২ বিলিয়ন ডলার।
সবশেষে, ২০০ মিলিয়ন ডলারের ‘পাওয়ার ট্রান্সমিশন স্ট্রেনদেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউয়েবল এনার্জি’ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংযোগ নিশ্চিত করতে ৯টি সাবস্টেশন উন্নয়ন এবং ১৪১ কিমি নতুন বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
এই ঋণচুক্তিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুমু
