
সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে ফল উৎপাদনে নানা দেশের প্রতিযোগিতার মধ্যে আপেল উৎপাদনে দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে চীন। আন্তর্জাতিক কৃষি তথ্যভাণ্ডার (FAOSTAT) এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী,
২০২৩ সালে চীনের আপেল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৯.৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন, যা বৈশ্বিক মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশেরও বেশি।
এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক, যারা একই বছরে উৎপাদন করেছে ৪.৮ মিলিয়ন টন আপেল। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে উৎপাদন হয়েছে ৪.৪ মিলিয়ন টন। এছাড়াও পোল্যান্ড, ভারত, ইরান, রাশিয়া এবং চিলি রয়েছে শীর্ষ দশ উৎপাদনকারীর মধ্যে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনে আপেল উৎপাদনের সাফল্যের পেছনে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
প্রথমত, হেবেই, শানসি ও শানডং প্রদেশে আপেল চাষের জন্য উপযোগী ঠান্ডা ও শুষ্ক জলবায়ু বিরাজমান।
দ্বিতীয়ত, উন্নত বাগান ব্যবস্থাপনা, ক্লোনাল রুটস্টক ও টিস্যু কালচারের মতো প্রযুক্তি ব্যবহারে চীন অনেক দূর এগিয়েছে।
তৃতীয়ত, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তীর্ণ জমিতে আপেল চাষ হয় যা উৎপাদনে ভলিউম বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি ও রপ্তানিমুখী নীতিতে ফল উৎপাদনকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
চীন তার বিশাল উৎপাদনের একটি বড় অংশ অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ করলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারেও ব্যাপকভাবে রপ্তানি বাড়িয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, এমনকি ইউরোপীয় বাজারেও চীনা আপেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, দেশে আপেল উৎপাদন হয় না বললেই চলে। দেশের আপেল চাহিদা মূলত চীন, ইরান, ভারত, ও নিউজিল্যান্ড থেকে আমদানি করে পূরণ করা হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমিত আকারে পাহাড়ি অঞ্চলে পরীক্ষামূলকভাবে আপেল চাষ শুরু হয়েছে।
হ্যাপী