ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে টাকা তুলতে ভোগান্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:২৪, ১০ জুন ২০২৫

ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে টাকা তুলতে ভোগান্তি

ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে টাকা তুলতে ভোগান্তি

ঈদুল আজহায় এবার সরকারি ছুটি ১০ দিন। এ সময় দেশের সব ব্যাংকও বন্ধ রয়েছে। ফলে টাকা লেনদেনের বিকল্প মাধ্যম হচ্ছে এটিএম বুথ, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমএফএস প্রভৃতি সেবা। তবে ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকেরা। কারণ, অনেক বুথেই পর্যাপ্ত টাকা নেই। রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি স্থানে ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন গ্রাহক ফোন করেও তাদের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
রাজধানীর মিরপুর, আদাবর ও মগবাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, কিছু ব্যাংকের বুথে টাকা না থাকায় একেবারেই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আবার প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে বন্ধ রয়েছে কিছু বুথ। যেসব বুথ থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে, সেগুলোতেও সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, যেসব ব্যাংকের বুথ চালু,  সেগুলোর কোনো কোনোটিতে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকের কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার সুযোগ বন্ধ রয়েছে। আবার যেসব ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা যাচ্ছে সেখানেও সীমা আরোপ রয়েছে। কিছু কিছু ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের কার্ডে ৫ হাজার টাকার বেশি তোলা যায়নি। ফলে ছুটির এই সময়ে বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা আকতার হোসেন জানান, তিনি বেসরকারি একটি ব্যাংকের গ্রাহক। গতকাল দুপুর থেকে অন্তত চারবার তিনি ব্যাংকটির বিভিন্ন বুথ থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই বিফল হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত টাকা না তুলেই ফিরতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, ঈদের সময় নগদ টাকার অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। কিন্তু পাঁচ-ছয়টি বুথ ঘুরেও টাকা তুলতে পারলাম না। এটা তো চরম ভোগান্তি। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটিএম বুথগুলোতে সাধারণত আশপাশে শাখা থেকে টাকা জমা করা হয়। একটি বুথে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত  জমা করা যায়।

ফলে সেই টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক এটিএম বুথ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে শাখা থেকে দূরত্বে থাকা বুথগুলো নিয়ন্ত্রণ করে তৃতীয় পক্ষ। ছুটিতে এসব বুথের অনেকগুলোতে লেনদেন বন্ধ দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, সারাদেশে এটিএম বুথ রয়েছে ১২ হাজার ৯৪৬টি এবং ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন (সিআরএম) রয়েছে ৭ হাজার ১২টি। এটিএম বুথে নিয়মিত টাকা জমা করতে হয়। ঈদের সময় সিআরএমগুলোতে এটিএমের মতো টাকা জমা করতে হয়। কারণ, এই সময় সবাই টাকা উত্তোলন করেন। ব্যাংকগুলো দুই পদ্ধতিতে এটিএম বুথে টাকা জমা করে। শাখার নিকটবর্তী এটিএম বুথে শাখার কর্মকর্তারা টাকা জমা করে থাকেন। আর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার দূরে অবস্থিত এটিএম বুথগুলোয় তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে টাকা জমা করা হয়।

×