ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিনিয়োগ-পরবর্তী সেবা’ শীর্ষক বিডা-বিসিসিসিআই কর্মশালা

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ১৩ মে ২০২৩

‘বিনিয়োগ-পরবর্তী সেবা’ শীর্ষক বিডা-বিসিসিসিআই কর্মশালা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘বিডা’র নির্বাহী সদস্য অভিজিত চৌধুরী

“বিনিয়োগ-সহায়ক সেবামুখী সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ‘বিডা’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা’ গড়া স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ সহায়তা ও সে বা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিভাগ সব সময় সকল দেশের বিনিয়োগ সহায়তা বিধানে উন্মুক্ত, বিশেষ করে এদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী চীনের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বদা তৎপর। বিদেশী বিনিয়োগে ৬৭টি কাঠামোগত সেবা সহায়তার মধ্যে ২৩টি সেবা প্রদান করে ‘বিডা’ (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। 

বিডা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে শীঘ্রই একটি সমন্বিত উদ্যেগে কারিগরী সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে ব্যপক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে, শনিবার বিসিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত “বিনিয়োগ সহায়তা এবং “বিডা’র বিনিয়োগ পরবর্তী সেবা” শীর্ষক এক যৌথ ওয়াকশর্পে প্রধান অতিথির ভাষণে এই মন্তব্য করেন ‘বিডা’র নির্বাহী সদস্য অভিজিত চৌধুরী। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনার বিভিন্ন বিষয়ে এই কর্মশালায় উ¤œুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে অংশ নেন বেশ কয়েকটি নেতৃস্থানীয় চীনা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিবর্গ। 
কর্মশালায় অভিমত ব্যক্তকরা হয় যে, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের প্রস্তাব এবং বিনিয়োগকারীদের সুযোগ-সুবিধা সম্পকৃত প্রস্তাব ‘বিসিসিসিআই’ এর মাধ্যমে ‘বিডা’ সমীপে ফরোয়ার্ড করা হলে তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত হবে। কারন চীনা বিনিয়োগ উন্নয়নে ‘বিসিসিসিআই’ এবং ‘বিডা’ এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়েছে, যার বিধান অনুযায়ী ‘বিসিসিসিআই’ এবং ‘বিডা’ এখন থেকে প্রতি দুই মাস পর পর বৈঠক করবে যাতে বিষয়গুলি ত্বরান্বিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

বিসিসিসিআই-বিডা যৌথ উদ্যেগে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সভাপতির ভাষণে বিসিসিসিআই এর সেক্রেটারি জেনারেল আল মামুন মৃধা বলেন, বাংলাদেশ চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় রিাজমান কাঠামোগত প্রতিক‚লতা দূর করা, সরকারী সংশ্লিষ্ট বিভাগ সমূহের কর্মদক্ষতা ও সমন্বয় আরো বৃদ্ধি করা খুবই জরুরী।”
ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়াং এবং বাংলাদেশ চীনা উদ্যেক্তাদের সমিতি “সিইএবি’ এর সভাপতি কে’ চাংলিয়াং। কমাশিয়াল কউন্সেলর সং ইয়াং বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি সত্যিই এক বিরল বিস্ময় এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের কৌশলগত অংশীদার হিসাবে চীন গর্ববোধ করে। চীন হলো বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক কৌশলগত মিত্র। এ দেশের উন্নয়নকে চীন সর্বদা প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার  কিংবা নির্বাচনের মতো রাজনৈতিক বিষয়ে চীনের কোন সংশ্লিষ্টতা নাই, যা নিতান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের চীনা উদ্যেক্তাদের সংগঠন ‘সিইএবি’ সভাপতি কে’ চাংলিয়ং বিশেষ অতিথির ভাষনে বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ১৩.৫% শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তায় একটি বিশেষ নিরাপত্তা টিম গঠনের জন্য এদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।

ওয়ার্কশপের শেষ পর্যায়ে “উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে” বাংলাদেশ চীনা বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় ও খাত ভিত্তিক এক মনোজ্ঞ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিনিয়োকারীদের বিভিন্ন পশ্নের উত্তর দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত “বিডা’র কর্মকর্তাবৃন্দ। এগুলোর মধ্যে ছিলো কাষ্টমস, এনবিআর, ভিসা প্রক্রিয়ার করণ, দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা ইস্যুকরণ, বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ পরবর্তী সেবা, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ প্রভৃতি।

ওয়ার্কশপে উপস্থিত ‘বিডা’ কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন আবু সাইদ জোয়ারদার, সুনীল কুমার অধিকারী, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ আরিফুল হক, আতিক সরকার প্রমুখ, বিসিসিসিআই এর কর্মকর্তাবৃন্দ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবর্গ প্রমুখ। ওয়ার্কশপে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন বিসিসিসিআই’ এর অফিস সেক্রেটারি আবু তাহের।
 

 

রহিম শেখ

×