ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

দাবি সারোয়ার তুষারের

সংসদ নয়; নির্বাচিত গণপরিষদই সংবিধান পরিবর্তন করবে

প্রকাশিত: ১৮:০১, ১১ মে ২০২৫

সংসদ নয়; নির্বাচিত গণপরিষদই সংবিধান পরিবর্তন করবে

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে নতুন সংবিধান নিয়ে কথা বলেছেন। তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি দাবি করেন, এত বড় একটা গণঅভ্যুত্থানের পর নাকি নতুন একটা সংবিধান লেখা যাবে না! অন্তত মৌলিক সংস্কারও নাকি করা যাবে না! সংসদে গিয়ে নাকি আঠারোটা সংশোধনীর মতো আরও একটা সংশোধনী মাত্র করতে হবে যা আদালত চাইলে বাতিল করে দিতে পারবে। মৌলিক সংস্কার/পুনর্লিখনে জনগণই কর্তা। জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের ম্যান্ডেট নিয়েই সংবিধানের পুনর্লিখন/মৌলিক সংস্কার ঘটে। আদালত এটা চ্যালেঞ্জ করতে পারে না; বরং পুনর্লিখিত/সংস্কারকৃত সংবিধানই হবে আদালতের বিচারের ভিত্তি এবং পার্লামেন্টের আইন প্রণয়নের বৈধতার ভিত্তি। অন্যদিকে, সংশোধনীর মানে হচ্ছে বিদ্যমান সংবিধানের সাথে সাজুয্যপূর্ণ সামান্য ঘষামাজা। বিদ্যমান সংবিধানের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ নয় এমন যেকোনো সংশোধনী আদালত বাতিল করে দিতে পারে। যেমন পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া হয়েছে। সংশোধনী নয়; মৌলিক সংস্কারই গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট। সংসদ নয়; নির্বাচিত গণপরিষদই সংবিধান পরিবর্তন করবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অন্তত তিনবার সংবিধান সংশোধনী ঘটেছে একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে। ষষ্ঠ, একাদশ ও চতুর্দশ। দুইবার প্রত্যক্ষ, একবার পরোক্ষ। জনাব আবদুস সাত্তারকে উপরাষ্ট্রপতি পদে থেকেই রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য সুযোগ করে দেয়ার জন্য ষষ্ঠ সংশোধনী আনা হয়েছিল। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে যাবার বিধান পাস করানো হয় একাদশ সংশোধনীতে। হ্যাঁ, এতে সব দলের সায় ছিল। তবু একব্যক্তিকে কেন্দ্র করেই যে একটা সংশোধনী আনা হয়েছিল, এই সত্য আড়াল হয় না। এরপর চতুর্দশ সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ বছর করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানানো। 

ফারুক

আরো পড়ুন  

×