
ছবি : সংগৃহীত
দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদন নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক টাইমলাইনে প্রতিবেদনটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “ফ্রেমিংটা দেখেন!”, এই বাক্য দিয়েই শুরু হয় তার ক্ষোভ প্রকাশ।
আসিফ মাহমুদ দাবি করেন, প্রতিবেদনটির হেডলাইন ও থাম্বনেইল ছিল “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিসলিডিং”। অথচ নিউজ কনটেন্ট ছিল তারই ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট থেকে হুবহু কপি করা। তিনি বলেন, “সরকার কিছু বললেই বলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। অথচ এখন যা হচ্ছে তা একপ্রকার তথ্য সন্ত্রাস।”
তিনি উল্লেখ করেন, তার পেজ থেকেই দুর্নীতিবিরোধী অভিযোগ বক্সটি চালু করা হয়, যেখানে এলজিআরডি ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অভিযোগ আহ্বান করা হয়েছিল। “সকালে সেই অভিযোগগুলোর একটি রিপোর্টও আমার পেজ থেকেই প্রকাশ করা হয়েছে। যেহেতু এই দুই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আহ্বান করা হয়েছে, ফলে অভিযোগ বেশি আসবে, এটাই স্বাভাবিক।”
তিনি জানান, সংবাদপত্রটির এই আচরণ প্রথম নয়। বিগত এক মাস ধরে তাদের পক্ষ থেকে *তথ্য-উপাত্তবিহীন, টার্গেটেড নিউজ প্রকাশিত হয়ে আসছে। আরও বিস্ফোরক দাবি করে তিনি বলেন, সংবাদপত্রটির এক দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে হাউজ মিটিংয়ে বলেন, “ছাত্র উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে নিউজ করা আমাদের হাউজ পলিসি।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে এই তথ্য সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?” পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।
প্রসঙ্গত, উক্ত প্রতিবেদনটি ইতোমধ্যেই ২,০০০ বারের বেশি শেয়ার হয়েছে*, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আঁখি