
ছবি: প্রতীকী
ভাবছেন বিয়ে করবেন? প্রথমেই চিন্তা—খরচ হবে কত! বসলেন খাতা-কলম নিয়ে হিসাব করতে। একে তো স্বর্ণের দাম আকাশছোঁয়া, তার উপর অন্যান্য খরচেরও যেন শেষ নেই! হিসাব করতে করতেই মাথায় হাত। তবে কি খরচের ধাক্কায় এবারও করা হলো না বিয়েটা?
চিন্তার কিছু নেই। এখন ব্যাংক থেকেই নিতে পারবেন বিয়ের জন্য বিশেষ ঋণ, তাও আবার সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। চলুন জেনে নিই—কীভাবে পাওয়া যাবে এই বিশেষ ঋণ এবং কারা পাবে এটি।
বিয়ের কথা উঠলেই মধ্যবিত্তরা আগে ভাবেন খরচের কথা। গায়েহলুদ থেকে শুরু করে মূল অনুষ্ঠান পর্যন্ত কেবল খরচ আর খরচ। এই কারণেই বিয়ের বয়স পার হয়ে গেলেও অনেকেই সাহস করে উঠতে পারেন না।
তাদের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক এনেছে বিবাহ ঋণ। কিছু ব্যাংক আলাদাভাবে ‘বিবাহ ঋণ’ হিসেবেই টাকা দিচ্ছে। আবার অনেক ব্যাংক ‘ব্যক্তিগত ঋণ’ হিসেবেও এই সুবিধা দিচ্ছে।
চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী অথবা জমির মালিক—সবার জন্যই এই ঋণ উন্মুক্ত। তবে ব্যাংক বিবেচনা করবে—
-
মাসিক আয়
-
চাকরি বা ব্যবসার ধরন
-
বয়স
-
পেশাগত অভিজ্ঞতা
-
ব্যাংক হিসাবের লেনদেন
যাদের স্থায়ী চাকরি আছে এবং আয় তুলনামূলক বেশি, তাদের ক্ষেত্রে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।
বর্তমানে উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, ইউসিবি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-সহ একাধিক ব্যাংকে এই বিবাহ ঋণ চালু আছে। তবে সীমান্ত ব্যাংক শুধুমাত্র বিজিবি সদস্যদের জন্য এই ঋণ দিয়ে থাকে। বিজিবি সদস্য চাইলে নিজের সন্তানের বিয়ের জন্যও ঋণ নিতে পারবেন।
ঋণের পরিমাণ: সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত।
পরিশোধ পদ্ধতি: মাসিক কিস্তিতে। সময়সীমা ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত। তবে কিস্তির মেয়াদ যত বাড়বে, সুদের পরিমাণও ততটাই বাড়বে।
ঋণ পেতে লাগবে—
-
জাতীয় পরিচয়পত্র
-
পাসপোর্ট সাইজ ছবি
-
চাকরির আইডি কার্ড (যদি থাকে)
-
প্রয়োজনে বিয়ের কার্ড বা অন্যান্য প্রমাণপত্র
তাহলে আর দেরি কেন? ব্যাংকের টাকায় দ্রুতই সেরে ফেলুন নিজের স্বপ্নের বিয়েটা!
নুসরাত