
ছবি: জনকণ্ঠ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুই সেতু ১১ মাসেও সংস্কার হয়নি। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ১৫ হাজার মানুষকে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বিগত ৯ মাস যাবৎ সেতু দুটি ঝুঁকিতে থাকায় ওই সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেখানে দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ ও সড়কটি সংস্কারের দাবি তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চুঁরখারহাট-শোভনছড়ি বাংলাবাজার সড়কের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে দুটি সেতুর একপাশের পিলার দেবে গিয়ে হেলে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে সেতুর একাংশের রেলিং।
এ ছাড়া, সেতুর উভয় পাশে ধসে পড়া সংযোগ সড়ক মাটি দিয়ে ভরাট করে কোনোমতে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সুয়াবিল ইউনিয়নের শোভনছড়ি গ্রামের ফনিখালের ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন ভাঙ্গাপুল ব্রিজ ও মালুয়াঘাটা ব্রিজ গত বছরের আগস্ট মাসের ভয়াবহ বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানির স্রোতে সেতুর পিলার নিচের দিকে দেবে যায় এবং সেতুর একাংশের অ্যাপ্রোচ ধসে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়দের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মাটি ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। সেতুগুলো দিয়ে উপজেলা সদরের পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করেন ওই এলাকার ১৫ হাজার মানুষ।
শোভনছড়ি গ্রামের মিলন মিয়া বলেন, হেলে যাওয়া জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে আমরা কষ্ট করে যাতায়াত করছি। আসন্ন বর্ষায় খালে পানি বৃদ্ধি পেলে সেতুগুলো ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, এ গ্রামে কয়েকটি স্কুল, চা-বাগানসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দৈনিক ৪-৫ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতুগুলো ব্যবহার করে যাতায়াত করতে হয়।
এ বিষয়ে সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মুনসুর আলী জনকণ্ঠ-কে বলেন, “গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় সেতু দুটি হেলে পড়ে। ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়দের চলাচল করতে হচ্ছে। আশা করছি, স্থানীয়দের কষ্ট লাঘবে দ্রুত সময়ে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ করবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। সে লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।”
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তন্ময় নাথ জনকণ্ঠ-কে বলেন, “গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা সেতু দুটি ও সড়কটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেখেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রকল্পের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হলে দ্রুত সময়ে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ ও সড়কটি সংস্কার করা হবে।”
মুমু ২