
আপনি জানেন কি—পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রাণী মশা! আমরা যখন ভয়ংকর প্রাণীর কথা ভাবি, তখন মনে আসে হিংস্র বাঘ, বিষাক্ত সাপ কিংবা ভয়ংকর হাঙরের কথা। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, এদের কেউই নয় পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর ও ক্ষতিকর প্রাণী। সেই "খেতাব" পেয়েছে এক ছোট্ট, প্রায় অদৃশ্য প্রাণী—মশা।
কীভাবে ক্ষতিকর?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে। মশার কামড় থেকে ছড়ায়—
🦠 ম্যালেরিয়া
🦠 ডেঙ্গু
🦠 চিকুনগুনিয়া
🦠 জিকা ভাইরাস
🦠 ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস
🦠 ইয়েলো ফিভার
এইসব রোগে শুধু মৃত্যুই নয়, লাখ লাখ মানুষ পঙ্গু, দুর্বল বা দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বিজ্ঞান কী বলছে?
মজার বিষয় হলো—শুধুমাত্র স্ত্রী (নারী) মশাই মানুষের রক্ত খায়। কারণ, ডিম পাড়ার জন্য তারা প্রোটিন সংগ্রহ করে মানুষের রক্ত থেকে। পুরুষ মশা কিন্তু একটিও কামড়ায় না—তারা খায় গাছের রস বা ফুলের মধু।
একটি ছোট্ট প্রাণী, বিশাল প্রভাব
একটি মাত্র মশা হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে, যুদ্ধ থামাতে পারে (ঐতিহাসিকভাবে ম্যালেরিয়ার কারণে অনেক সৈন্যদল ধ্বংস হয়ে গেছে), এমনকি মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্য বদলে দিচ্ছে মশা নিয়ন্ত্রণের জৈব প্রযুক্তি।
পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র, উপেক্ষিত প্রাণীগুলোর মধ্যেও থাকতে পারে মারাত্মক প্রভাব। একটি মশা—যে দেখতে ছোট, কিন্তু তার কামড়ে বদলে যেতে পারে জীবন, সমাজ, এমনকি ইতিহাস।
তাই এই মশা কেবল একটি প্রাণী নয়—এ এক বৈজ্ঞানিক, ধর্মীয় ও মানবিক উপলব্ধির প্রতীক।
সানজানা