ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১১ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রাণী মশা, কোরআনে যা নিয়ে আছে বিস্ময়কর বার্তা

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ১০ জুন ২০২৫

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রাণী মশা, কোরআনে যা নিয়ে আছে বিস্ময়কর বার্তা

পৃথিবীতে যত প্রকার প্রাণী আছে, তার মধ্যে মশা আকারে ক্ষুদ্র হলেও মৃত্যুর পরিসংখ্যানে সবচেয়ে ভয়ংকর। এমন অনেক প্রাণী রয়েছে যারা মশার তুলনায় অনেক বড়, শক্তিশালী এবং হিংস্র। কিন্তু মশাই হচ্ছে এমন এক প্রাণী, যার কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়।

আমেরিকান মশা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (American Mosquito Control Association) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর মশাবাহিত রোগে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে শুধু ম্যালারিয়াতেই মৃত্যু হয় প্রায় ৬ লাখ মানুষের

দৈনন্দিন জীবনে বিরক্তিকর একটি কীট হিসেবেই আমরা একে চিনি। কিন্তু ইসলাম ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআনে এই ক্ষুদ্র প্রাণীটির উল্লেখ আছে একটি বিশেষ উপমা হিসেবে।

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয় উপদ্বীপে এক নতুন ধরনের পরজীবীর সন্ধান পেয়েছেন,
যে মশার শরীরেই আক্রমণ করে এবং মশার রক্ত খায়। এই পরজীবীটি মশার চেয়েও আকারে ছোট এবং মশার মধ্যেই বাস করে। এ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের জন্যও বিস্ময়কর। 

এই আবিষ্কারের আলোকে অনেকেই কোরআনের একটি আয়াতের কথা উল্লেখ করছেন। সুরা বাকারা’র ২৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:

"নিশ্চয়ই আল্লাহ মশা কিংবা তার চেয়েও ক্ষুদ্র কিছু দিয়ে উপমা দিতে লজ্জাবোধ করেন না।"
(সূরা বাকারা, আয়াত ২৬)

এখানেই বিজ্ঞান ও কোরআনের বাণী একত্রিত হয়। ১৪শ’ বছর আগে যখন এই আয়াত নাজিল হয়, তখন মানুষ মশার চেয়েও ছোট জীবের অস্তিত্ব কল্পনাও করতে পারতো না। 

 প্রায় ৪০ কোটি বছর ধরে মশা পৃথিবীতে টিকে আছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডাইনোসরেরও বহু আগ থেকে তারা পৃথিবীতে অবস্থান করছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩,৫০০-৩,৬০০ প্রজাতির মশা রয়েছে। মশার একজোড়া যৌগিক চোখের প্রতিটিতে প্রায় শত শত ছোট লেন্স থাকে। মশার নাকে ছয়টি পৃথক ছুরি রয়েছে, যাদেরকে আমরা হুল বলি। এদের প্রত্যেকটি হুলের কাজও আলাদা। যেমন, কিছু চামড়া কেটে ফেলে, কিছু রক্ত চুষে নেয়, কিছু এনজাইম ছাড়ে ইত্যাদি। মশা তাপ, গন্ধ, এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে টার্গেট শনাক্ত করতে পারে, যা অনেকটা ইনফ্রারেড সেন্সিং-এর মতো কাজ করে। তাই প্রায় ১৮ ফুট দূর থেকেও তারা টার্গেট ঠিক করতে পারে।

 

সানজানা

×