৫৮ দিনের সামুদ্রিক মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা আজ মধ্যরাতে শেষ হবে। এই শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে মাছ ধরতে গিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় ‘এফ ভি আনোয়ারা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। ট্রলারটিতে থাকা ১৬ জন মাঝিমাল্লা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের ভাষ্যমতে, কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের চাপলি বাজার এলাকার জাহিদ ব্যাপারীর মালিকানাধীন ট্রলার নিয়ে সোমবার বিকেলে তারা সাগরে মাছ ধরতে যায়। প্রায় এক লক্ষ টাকার বাজার সদাই নিয়ে তারা সমুদ্রে নামেন।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে ট্রলারটির ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সেচেও কাজ হয়নি। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ডুবির পরপরই ট্রলারে থাকা জেলেরা মালিকপক্ষকে ফোনে খবর দিলে স্পিডবোট পাঠিয়ে প্রায় আড়াই ঘন্টা পর প্রথম দফায় ৬ জন এবং পরে আরও ১০ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
এসিস্ট্যান্ট মাঝি মজনু ফরাজী বলেন, আমাদের বোট এফ ভি আনোয়ারা হঠাৎ আমরা দেখি প্রচুর পানি উঠতে শুরু করেছে আমরা খোজা খুৃজি করেও পাইনি কোথা থেকে এত পানি উঠে, এর পরে জীবন রক্ষা জন্য দ্রুত কিনারায় আসার জন্য মাঝিকে চালাতে বলি এর মধ্য আমরা বালতি, থাল দিয়া পানি ফালাতে থাকি তবে এত পরিমান পানি উঠতে থাকে যা বলে বুঝানো যাবে না।
তিনি আরো বলেন, পায়রা বন্দরের শেষ বয়া ওই খানে বসে এই ঘটনা ঘটে সেখান থেকে কিনারায় আসতেই মাঝপথে বসে হঠাৎ পানি উঠে ট্রলারটি তলিয়ে যায়, পরে স্পিড বোডের মাধ্যমে আমাদের কে উদ্ধার করে কিনারায়নী আসছে।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে, তারা হলেন-রহমান মাঝি, মজনু ফরাজি (৪২), সবুজ (৩০), এনায়েত হোসেন (৪৮), মেজবাউদ্দীন মিজু (৩৭), সজিব (২২), নাসির, হৃদয় ও মুছা।
কুয়াকাটা নৌপুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ বিকাশ মণ্ডল জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। এবিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার শেষ মুহূর্তে হয়তো ফাঁকি দিয়ে তারা সাগরে গিয়েছিলেন৷
রাজু
