
ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই গ্রামে বা শহরতলির বাড়ির পাশে বাগান করতে ভালোবাসেন। গাছপালা সৌন্দর্য ও ছায়া দেয়, আবার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে। কিন্তু আপনি কি জানেন, কিছু নির্দিষ্ট গাছ রয়েছে যেগুলো সাপকে আকৃষ্ট করতে পারে? গবেষণা ও স্থানীয় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা এমনই সাতটি গাছের নাম চিহ্নিত করেছেন, যেগুলোর আশেপাশে সাপের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।
১. বেলিফুল গাছ
রাতের বেলায় অনেক পোকামাকড় আসে ফুলে, যেগুলো খেতে সাপ আশেপাশে থাকতে পারে। গাছের নিচে শুকনো পাতা, কাঠ বা ইঁদুরের গর্ত থাকলে সাপ আসতে পারে।
২.কদম গাছ
এই গাছ আকারে অনেক উঁচু ও ছায়াঘন হয়। দিনের বেলা ছায়া এবং রাতের ঠাণ্ডা পরিবেশে সাপ সহজেই আশ্রয় নেয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে কদম গাছের নিচে সাপের দেখা মেলে বেশি।
৩. কলা গাছ
কলা গাছের নিচে জমে থাকা পানি ও পচা পাতায় ব্যাঙ, ইঁদুর বা পোকামাকড় আসে, যেগুলো সাপের প্রিয় খাদ্য। তাই কলা গাছের গোড়ায় সাপ লুকিয়ে থাকা বা ঘুরে বেড়ানো অস্বাভাবিক নয়।
৪. বাঁশঝাড়
বাঁশঝাড় ঘন হয় এবং সেখানে পাতা ও শুকনো বাঁশ ঝরে থাকে, যা সাপের জন্য একটি আদর্শ লুকানোর স্থান। গ্রামের অনেক জায়গায় বাঁশঝাড়ে বিষাক্ত সাপের বাসার খবর পাওয়া গেছে।
৫. আম গাছ
আম গাছে ইঁদুর, বাদুড় ও অন্যান্য ছোট প্রাণী ফল খেতে আসে। এসব প্রাণীর উপস্থিতি সাপকেও আকৃষ্ট করে। এছাড়া গাছের ঘন ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশ সাপের জন্য সুবিধাজনক।
৬. শিমুল গাছ
শিমুল গাছ অনেক উঁচু এবং ফাঁপা হওয়ার কারণে সাপ ভিতরে আশ্রয় নিতে পারে। পাখি ও ইঁদুরের বাসার খোঁজে সাপ এসব গাছে উঠে যায়।
৭. তাল বা খেজুর গাছ
তাল ও খেজুর গাছে বিশেষ করে রাতে পোকামাকড় ও বাদুড়ের আনাগোনা বেশি হয়। ফলে সাপও আসে এসব প্রাণীর খোঁজে। আবার এই গাছগুলোতেও ফাঁপা কাণ্ডে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।
সতর্কতা:
বাগানে বা বাড়ির আশপাশে এসব গাছ থাকলে গাছের নিচে অন্ধকার, ভেজা বা ঝোপঝাড় জমে থাকতে দেওয়া উচিত নয়। নিয়মিত গাছ পরিষ্কার, গাছের গোড়া খোলা রাখা ও আলোর ব্যবস্থা করলে সাপের আনাগোনা অনেকটাই কমানো সম্ভব।
গাছ লাগাতে ভয় পাওয়ার দরকার নেই, তবে সচেতনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই জরুরি।
মুমু ২