
ছবিঃ সংগৃহীত
গ্রীষ্মকালের প্রচণ্ড গরমে শরীর চাঙা ও সুস্থ রাখতে যেমন হাইড্রেটেড থাকা জরুরি, তেমনি দরকার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারও। এ সময়ে হাতের কাছেই পাওয়া যায় এমন একটি ফল হলো কাঁঠাল—যা শুধু স্বাদেই নয়, উপকারিতার দিক থেকেও অনন্য।
প্রাকৃতিকভাবে শক্তি যোগায়
কাঁঠালে থাকা প্রাকৃতিক চিনি—সুক্রোজ ও ফ্রুকটোজ—শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকায় এটি এক শক্তিশালী প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। গরমে ঘামে শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে কাঁঠাল হতে পারে তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস।
হজমে সহায়ক
অনেকেই মনে করেন কাঁঠাল খেলে গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা হতে পারে, তবে আসলে কাঁঠালে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। এটি অন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে কার্যকর।
পানিশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকর
গ্রীষ্মের দাবদাহে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে অনেক পানি বেরিয়ে যায়, ফলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। কাঁঠালের পাকা অংশে প্রায় ৯০ শতাংশ জলীয় উপাদান থাকে, যা শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক। পাশাপাশি এতে থাকা ইলেকট্রোলাইট ক্লান্তি, মাথাব্যথা ও ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যাও প্রতিরোধ করে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
কাঁঠালে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। গরমকালে সর্দি, কাশি ও ভাইরাল জ্বরের ঝুঁকি কমাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রদাহ কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
ত্বক রাখে উজ্জ্বল ও সতেজ
ত্বকের জন্যও কাঁঠাল অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতরের বিষাক্ত উপাদান দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। পাশাপাশি এর উচ্চ জলীয় উপাদান ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে, রুক্ষতা ও ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
মিষ্টি স্বাদের এই ফলে ক্যালোরি ও চর্বির পরিমাণ অত্যন্ত কম। কাঁঠালের আঁশ দীর্ঘ সময় পেট ভরাট রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
শেষ কথা
গ্রীষ্মের পুষ্টিকর ফল কাঁঠাল শুধু স্বাদেই নয়, শরীরের নানা দিক দিয়ে উপকারে আসে। তাই গরমের দিনে স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য কাঁঠাল হতে পারে একটি দারুণ খাবার নির্বাচন।
আলীম