
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন-বিরোধী অভিযানের আওতা এবার পৌঁছেছে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের দিকেও। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অনুসারী-সম্পন্ন টিকটকার খাবি লেইমকে লাস ভেগাসে মার্কিন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা আটক করেন এবং পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেন।
ইতালীয়-সেনেগালিজ বংশোদ্ভূত খাবি লেইম, যাঁর টিকটকে ১৬ কোটির বেশি অনুসারী রয়েছে, গত শুক্রবার হ্যারি রিড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন বলে এক বিবৃতিতে জানায় মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)।
এই ঘটনায় আরেক প্রজন্ম ‘জেনারেশন জেড’-এর ইনফ্লুয়েন্সার, কিশোর বয়সী ও ট্রাম্পপন্থী কর্মী বো লাউডন নিজেকে খাবির বহিষ্কারের নেপথ্যে দাবি করেন।
লাউডন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমি জানতে পারি যে সে (খাবি) অবৈধভাবে আছে,” — যিনি নিজেকে ট্রাম্পের ছেলে ব্যারন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে দাবি করেছেন এবং ইনস্টাগ্রামে যাঁর প্রোফাইল ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে তোলা ছবিতে ভরা। তিনি আরও লেখেন, “আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে তাকে বহিষ্কারের ব্যবস্থা করি।”
লাউডন খাবিকে “উগ্র-বামপন্থী ইনফ্লুয়েন্সার” হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং দাবি করেন, খাবি ট্রাম্পকে অপছন্দ করেন। যদিও এর কোনো প্রকাশ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, খাবি কখনও রাজনৈতিক কোনো অবস্থান নিয়েছেন।
খাবি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেন, একটি হলিউড সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ নিয়ে ‘খাবি ইজ কামিং টু আমেরিকা’ নামে একটি টিভি শো করেন, যা টুবি নামের একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়।
আইসিই-এর দেওয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, খাবি ৩০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন এবং তাঁর ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে দেশটিতে অবস্থান করতে থাকেন। শুক্রবার তাঁকে ‘স্বেচ্ছা বহিষ্কার’-এর শর্তে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়, এবং তিনি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন।
সানজানা