ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

জোবায়ের আলী জুয়েল

সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ভাষা ॥ প্রেম-বিরহ ও বিয়ের গান

প্রকাশিত: ২১:৩১, ১ এপ্রিল ২০২২

সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ভাষা ॥ প্রেম-বিরহ ও বিয়ের গান

১৮৫০ সালের ৩০ জুন আজকের দিনে চার ভ্রাতা সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব এবং তাঁদের দুই বোন ফুলো মূর্মূ ও ঝানো মূর্মূদের আহ্বানে ৪ শতাধিক গ্রামে প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল দামিন-ই-কোহ অঞ্চলের বর্তমান ঝাড়খন্ড রাজ্যের ভগনা ডিহি গ্রামে ব্রিটিশ সরকার ও তাদের দেশীয় জমিদার, সুদখোর, মহাজন, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তির সংগ্রাম গড়ে তুলেছিল। এটি ইতিহাসের এক বিরাট ঘটনা। পৃথিবীতে যতগুলো প্রাচীনতম জনগোষ্ঠী আছে, তাদের মধ্যে ভারত বর্ষের সাঁওতাল জনগোষ্ঠী অন্যতম। ভারতবর্ষের এসব আদি অধিবাসীদের আদিবাসী বলা হয়ে থাকে। আদিবাসীরা প্রাক দ্রবিড়ীয় ধারার উত্তর-পুরুষ এবং অস্ট্রিক ভাষার অন্তর্ভুক্ত সম্প্রদায়। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে মিশনারি পিটার সাহেবের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ১৭৯০-১৮১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে সাঁওতালেরা বিক্ষিপ্তভাবে ভারতের বিভিন্ন অংশে বাস করত। বর্তমান বিহারের সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে এরা ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। ওই অঞ্চলের পূর্বে নাম ছিল ‘দামিন-ই-কো’ বা পাহাড়িয়া অঞ্চল। এরা ছিল স্বাধীন জাতি, সহজে কারও বশ্যতা স্বীকার করত না। জমিদার, মহাজন বিশেষ করে বর্ণ হিন্দুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে তারা স্থানীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এটি সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত ছিল। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার এই বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করলেও স্বাধীনতার দাবি এবং বিদ্রোহ আগুন তাদের অন্তর থেকে এখনও নির্বাপিত হয়নি। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বিহারে স্বাধীন ‘ঝাড় খন্ড’ রাজ্যের পতনের জন্য এরা বিদ্রোহ করে। সাঁওতাল’রা অবিভক্ত ভারতের অন্যতম আদিম উপজাতীয় মুন্ডা ভাষাভাষী সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। এরা এমন একটা জাতি যারা কোন অবস্থাতেই সামাজিক দয়া চায় না বা অন্যের কৃপার মুখাপেক্ষী হয় না। পর নির্ভরশীলতা ও ভিক্ষাবৃত্তিকে এর মনে প্রাণে ঘৃণা করে। তারা নির্লোভ ও দুর্নীতিমুক্ত। তীর ধনুক হাতে করে পোষা কুকুর সঙ্গে নিয়ে বনে জঙ্গলে শিকার করে বেড়ায়। স্থান-কাল পাত্র ভেদে এরা মানবেতর জীবন যাপন করে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে। সাঁওতাল আদিবাসীরা মদ্যপ ও জড়বুদ্ধি সম্পন্ন। তারা বলিষ্ঠ জাতি, নারী-পুরুষ উভয়েই আত্মসংযমী ও কঠোর পরিশ্রমী। তাদের দেহ অপার শ্রম শক্তির ভা-ার। বিশ্বের যে কোন যুগের এবং যে কোন দেশের উচ্চ পরিশ্রমী জাতির শ্রম শক্তির সঙ্গে তাদের শ্রমশক্তি তুলনা করা চলে। এরা ঠিক শিক্ষিত ও মার্জিত না হলেও নিজেদের স্বাতন্ত্র বজায় রেখে বিশেষ এক শ্রেণীর জাতি হিসেবে আজও টিকে আছে। এরা প্রকৃতির সহজ সরল মানুষ। আদিকালে এরা বনে জঙ্গলে বাস করতো। বনই ছিল এদের রুজি রোজগারের প্রধান উৎস। প্রকৃতির নিত্যনতুন মুখশ্রী এদের হাতছানি দিয়ে ডাকে, তাই তারা প্রকৃতির সন্তান। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের আচরিত ধর্মের নাম ‘সারি ধর্ম’। এই ‘সারি ধরম’ আচরণের দ্বারা সাঁওতাল জনগণ আজ অবধি সামাজিক জীবন যাপন করে আসছেন। সাঁওতাল জাতির ‘সারি ধরমের’ এই ধর্মীয় দর্শন বিভিন্ন সামাজিক শাস্ত্রীয় গানের মধ্যে নিহিত আছে। প্রতিটি সামাজিক অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন শাস্ত্রীয় গান দ্বারা এই অনুষ্ঠান পরিপূর্ণ। এই গানগুলো প্রাচীন কাল থেকে শ্রুতির মাধ্যমে ধর্মীয় আচারে, সামাজিক আচারে লোকমুখে চলে আসছে। এ গানগুলোর অর্থ বিশ্লেষণ করলে সারি ধর্মের ধর্মীয় দর্শন খুঁজে পাওয়া যাবে। সাঁওতাল আদিবাসীদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হলো ‘লীলা অনুষ্ঠান’। এটি ‘দাশার’ উৎসব নামে ও সমধিক পরিচিত। এই ‘দাশার’ অনুষ্ঠানে পুরুষরাই মহিলার পোশাক পরে ও কতক পুরুষ নিজ নিজ মাথায় ময়ূর পুচ্ছ বেঁধে, পায়ে ঘুঙুর বেঁধে ঘরে ঘরে লাউ খোলের বিশেষ বাদ্যযন্ত্র ভুয়াং ও কাঁসর বাজানোর তালে তালে গান ও নৃত্যের মাধ্যমে আসর জমজমাট করে তোলে। তাদের এই স্তব গানের শুরুতে ‘হায়রে-হায়রে’ কথাগুলো যুক্ত থাকে। সাঁওতাল জনগোষ্ঠী কার্তিকের অমবস্যা তিথিতে গরুকে ভাল করে গা ধুইয়ে পরিষ্কার করে, কপালে সিদুঁরের টিপ পরিয়ে শিং-এ তেল মাখিয়ে, গায়ে নানা রঙের ছাপ লাগিয়ে গরু কুলকে সাজিয়ে তুলে। ভাল করে গরুদের আহারাদী সম্পন্ন করে তাদের পূজা অর্চনা শুরু করে। থালায় দুর্বা ঘাস, ধান ও প্রদীপ জ্বেলে শাস্ত্রীয় গান সহকারে সাঁওতালেরা গরুর আরতি বন্দনা করতে থাকে। সারা রাত বাদ্য যন্ত্রসহ গরু জাগানোর গান গেয়ে বাড়ি বাড়ি প্রদক্ষিণ করে। এই অনুষ্ঠান তাদের মর্তলোকে গো-পার্বণ অনুষ্ঠান নামে পরিচিত। বাংলাদেশে বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, নওগাঁ শহরের আশপাশে অনেক সাঁওতালের বাস। এদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার এবং এদের ছোট বড় সুখ-দুঃখের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ আমাদের সর্বদাই ঘটে। সাঁওতাল নারী পুরুষ শ্রমিকরা না থাকলে এ অঞ্চলে চাষাবাদ একদিনও চলতে পারে না। তাদের প্রত্যহ জীবনযাত্রার মধ্যে সংযম, শান্তি, সৌন্দর্য ও অনাবিলতা আছে। এরা বেশির ভাগই দরিদ্র কিন্তু বর্বর নয়। আজ এ প্রবন্ধে সাঁওতালি প্রেম-বিরহ ও বিয়ের গান নিয়ে আমাদের আলোচনা। সত্যকার সাঁওতালি গানের মধ্যে একটা সহজ সরল সৌন্দর্যবোধ বিদ্যমান রয়েছে। পৃথিবীর সব ভাষাতেই কিছু কিছু অশ্লীল গান প্রচলিত আছে। সাঁওতালি ভাষাতেও এর ব্যতিক্রম নয়। এ শ্রেণীর গান সাঁওতালি ভাষায় ‘বীর গান’ নামে পরিচিত। সাঁওতালি ভাষায় ‘বীর’ শব্দের অর্থ জঙ্গল। বছরের মধ্যে দু’একবার যখন এরা শিকারে যায়, গভীর জঙ্গলের মধ্যে পুরুষেরা তখন এ সকল গান গেয়ে থাকে। এ দলে মেয়েরা কখনও থাকে না। অল্প বয়স্ক ছেলেদেরও এখানে প্রবেশ নিষেধ। সাঁওতালি গানের কয়েকটি নমুনা এবং তার যথাযথ বঙ্গানুবাদ এখানে প্রদত্ত হলো- ১। গাডা নাড়িতে তিরিয়ো বদনরে নালম্ নরম্ ধীরি মাগরবে দাদো বদনরে নালম্ বডে। অর্থ : ওরে বদন নদীর ধারে বাঁশি আর বাজিওনা, পাথরের তলায় যে জল রয়েছে, তাকে ঘাটা কি উচিত বদন। ২। নায়ক্রো হয় গুরেন বাবা হঁয় গুরেন অকয় মিতেঞা দেমাই দুূড়প। নালে বাচারে কায়রা দারে কায়রা গে নিঞ গাঁও কয়রা গে না পুঞ কয়রা গে মিতেঁইয়া দোমাই দূড়প্। অর্থ : মাও ম’রে গেল বাবাও ম’রে গেল, কে আর আমাকে বলবে, মা’ এসে বোস্। আমাদের উঠানের সেই কলা গাছটি। ওই কলা গাছটিই আমাদের মা, ওই কলা গাছই আমাদের বাবা, ওই আজ বলছে, মা আয়, বোস! ৩। কাথা কাথাঃ তেলাং রপঃ রেনাঃ হড়া কাথা তেলাং বাপাঃ গে নাঃ বছর-মা-দিনরে চিঠিদ কোলমে জানিম্ নৈহার গিয়া মনেতে দঃ! অর্থ : কথায় কথায় আমরা দুটিতে কথা কাটাকাটি করুলুম, লোকের কথায় আমরা ভিন্ন হ’য়ে গেলুম। বছরের মধ্যেই যেন তোমার চিঠি আসে, তোমার মনেতেও কি আর আমার মতো বিরহের ব্যথা নেই। ৪। হঁপন মাঁয় জাঁওয়াইদ চিকাতে বাংসরি ও মায়ড়া গিয়া? চেৎ বৈশাখ চান্দু গাইয়ে গুপীং ললঃ সিতুংতে বাফাও উরেন। অর্থ : ছোটো মেয়েটির জামাই কি করেই না এমন মুচকুন্দ হ’লো সত্যি? তা’ জানো না-চৈত্র, বৈশাখ মাসে গরুর রাখালি করতে গিয়ে গরম রোদ্দুরে ভেপে উঠে মোছ জোড়াটি যে খসে গেছে। (বিবাহের সময় বরকে ঠাট্টা)। ৫। ইংজুরি কুড়িহঁ বানু কুয়া ইংদ কুয়ারিরে। ইংদং অডং চালাঃ এট্টাদিসাম। দারিরে জাপাঃ কাতে চান্দো সেচ্ সামাং কাতে চান্দু কয়েমে দিনি জুরিঃ! অর্থ : আমার সমবয়সী মেয়ে ত আর নেই, আজও কুমারী থেকে গেলুম! বেরিয়ে চ’লে যাবোই আমি অন্য কোনো দেশে। (আহা তাও কি হয়?) গাছে ঠেস দিয়ে, চাঁদের দিকে মুখ করে, চাঁদকে বলো- ওগো আমার জুড়িটি জুটিয়ে দাও। ৬। নাম নাসুল কুঁ ইডি মিরু নালম সামা গিয়া কানস্ ফ্যাকড়াঃ বান খান্দ সারি ঠেপে ঠেপে ধরাগে কুমড়ো পুসি সরি জমেয়ানাং। অর্থ : তোমার পোষা মহুয়া বীজের রঙের এই টিয়েটির ওড়বার পাখা-দুটি কেটো না সখা, তা’হলে সে ঝটপট করবেই, হয়তোবা চোর বেড়াল তাকে খেয়েই ফেলবে। ৭। গাডা নাড়ি নাড়িতে সুই উড, মুই উড়ু, কোড়া গোগল কানা হড়মড়ে সাজ বাজী চিকায় তামা ওড়ারে অনধন বানুওমা অর্থ : নদীর পাড়ে-পাড়ে সুপুরষটি ও বেশ শিস্ দিয়ে দিয়ে ফিরছো, শরীরের সাজ দেখে আর কি করবো, ঘরে তোমার না আছে ধন, না আছে অন্ন। ৮। গতেঞাঃ সাজদ সোনাগে সাজ রূপা গে আঙরং। নোয়াকো সাজবাজ চিকাতে হিংড়ি ঞ্যা। নালেঃ রাচারে মারাং অকর জজোঃ দারে- জজোঃ দারেরেঞ রাকাপ কাদা, রাচা জঃ জঃ রেঙ্গ হিড়িং কিদা অর্থ : আমার ভাবের লোকের সাজ ছিল সোনার, তার আভরণ ছিল রূপার-সেসব সাজ সজ্জা কি করে ভুলবো। আমাদের উঠানে ওই প্রকান্ড তেঁতুল গাছ, তেঁতুল গাছের উপর উঠিয়ে দিলুম সে-সব। উঠান ঝাঁট দিতে সব ভুল হয়ে যাচ্ছে। ৯। আলে দিসাম দ বুগিতে মাতকম দারি। তিকিন তারা সিংঞর আকানা। হয়মা হিসালিয়ে সিতুং ঢিমালিয়ে হয় লল দিন দুলাড় আলোম্ হালাং। অর্থ : আমাদের দেশেও মহুয়া গাছের অভাব নেই, দুপুরে বিকালে সব সময়েইও মহুয়া ঝ’রে পড়ছে। বাতাস হিংসুটে। রোদ্দুরটা অলস- প্রিয় গরম বাতাসের দিনে আজ মহুয়া না-ই কুড়ুলে। ১০। সাতেরে জাপাকাতে চেদা তোয়া-দারে রাং জোং কান, রাং বাং খাং দোন চিকায়া বাটিরে বাসাং দা বুরসি সিঙ্গেল নাডি যতন লিঞ হারা লিদি। অর্থ : ছাচতলায় ঠেস দিয়ে, দুধের লতা মাগো কেন কান্নাকাটি করছিস। কান্নাকাটি করব বৈকি, গুমরে গুমরে কাঁদবো বৈকি। -বাটিতে গরম জল- বড়শিতে কত ক’রে সেকা, অনেক যতেœ ডাগর করা এই আমার আদরের মেয়েটি। ১১। নাইন নুতুম দো বাবা বার ঘরে মাছ ওয়া-এপে গুরিচ মন্দরে খুনতি বিদ মে, নাইন নুতুম বারিয়াদ কো হোর রে গে দরম কোপে নাইন রেঁ জুরি দো নাতো রেগে। অর্থ : বাবা, মাঠের মধ্যে শামিয়ানা টানাও, সেই শামিয়ানা যেন থাকে বাড়ির খুব কাছে এবং সে শামিয়ানার খুঁটি পুতে দিও গোবরের ঢিবিতে, বরযাত্রী যখন আসবে তখন তাদের বাধা দিও, বাবা, আমার হৃদয় রয়েছে তোমাদের কাছে। ১২। নিঞগাঁ নাপুন সারি কান্দো বড় বারি। গতেঞ তালুক তুকু-এ বরো বারিক, জিয়ী বো গে বারিক গাতিং গে নাতা জিয়ী বোগে বারিক গোতিং তিঙগুণ নিনান জিয়ী দোরো গতেন তাইরে। অর্থ : পিতা আর মাতা দেবতাসদৃশ। কিন্তু স্বামীর সমকক্ষ কে আছে? জীবনের সকল সুখ এবং দুঃখ একমাত্র স্বামীই ভাগ করে নিতে পারে, একমাত্র স্বামীই বিপদ রুখে দাঁড়াতে পারে। আমার গোটা জীবন স্বামীর হাতেই নির্ভরশীল। ১৩। সুনুম সাসাং অজঃমড়ে দিন পাহিল খন দংবুন এনেচ আঃ ঝামর ঝামর। সুনুম সাসাং পে অজঃ কেদিঞ। ডুলা পাড়ন রিঞ ফাঁসি গজুঃ অর্থ : গায়ে তেল হলুদ পাঁচ দিন আগে মেখে দং নাচ হবে ঝামর ঝামর করে। বধূকে তেল হলুদ মাখালো ভিতরে ঢুকতে সবাইকে মানা করলো। দে মা এক টুকরো দড়ি পিড়িতে ঠেস দিয়ে ফাঁসি দিয়ে মরি। ১৪। আতো গাতি কুড়ি কোড়া মায়া জালাং ছাড়া ফিঁদেই হনদ ভেদ কান বোঙ্গা দেউড়ে ঈং রেনাং মায়া জাল মিনা আনাং মেন খান। কাদাম বাতে চাপা দিন পে ত্রিয়ে ডুচিয়ে তেগেদু জিনপে দেউড়ে চিতাং কুলি শহর নুর। অর্থ : গ্রামের যত যুবক যুবতী আছে মায়ার জালে আটকা তাদের কাছে ছিলাম আমি। এখন বোঙ্গার জালা ছিড়লো মায়া। আমার যাওয়ার পালা। কদম ফুলের ইশারায় দিস ডাক। আসবো আমি, মিথ্যা নয় এ হাঁক। তথ্য সূত্র ১। সাঁওতাল জাতির ধর্মীয় দর্শনঃ সোমাই কিস্কু ২। সাঁওতাল আদিবাসীঃ শামস্ পারভীন ৩। অরণ্য জনপদঃ জনাব আব্দুল সাত্তার ৪। সাঁওতালদের পারিবারিক জীবন ঐতিহ্যঃ প্রবাসী মাসিক পত্রিকা ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ কলকাতা। ৫। নৃগোষ্ঠী জনগোষ্ঠীঃ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা, ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ।
×