ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

চলে গেলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সায়মন ড্রিং

সেদিন জীবন বাজি রেখে সত্য প্রকাশের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন

প্রকাশিত: ২২:১৪, ২৪ জুলাই ২০২১

সেদিন জীবন বাজি রেখে সত্য প্রকাশের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন

মোরসালিন মিজান ॥ সায়মন ড্রিং প্রয়াত হওয়ার পর বাংলাদেশে যতবার তার নাম উচ্চারণ করা হয়েছে, নিশ্চিত বলা যায়, ততবারই উচ্চারণ করা হয়েছে ‘বন্ধু’ শব্দটি। হ্যাঁ, একটি দেশ গোটা জাতি এই ভিনদেশীকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছিল। তার মৃত্যুতে প্রিয় বন্ধু হারানোর শোক ও শূন্যতা অনুভব করছে বাঙালী। বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাপ হয়ত তিনি অনুভব করছেন, হয়ত সত্যি সত্যি এসবের উর্ধে এখন, তাই বলে ভালবাসা প্রকাশ থেমে নেই। স্বনামধন্য ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং গত ১৬ জুলাই তার নিজ দেশ ইংল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করেন। জানা গেছে, গত প্রায় এক বছর ধরে শরীর ভাল যাচ্ছিল না তার। এ অবস্থায় অস্ত্রোপচার করা হলে প্রাথমিকভাবে কিছুটা সুস্থও বোধ করেন তিনি। তবে মৃত্যু ঠেকানো যায়নি। কিছুটা বিলম্বে হলেও, খবরটি ঠিক এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশে। তার পর থেকেই অদ্ভুত এক বেদনাবোধ। অনেক দিন সায়মনের কোন খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। ঢাকায় সবাই যখন ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন আকস্মিকভাবে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার হতে আসে তার মৃত্যুর খবর। তখন থেকেই চলছে শোক প্রকাশ। স্মৃতিচারণ। ফেসবুকের পাতাজুড়ে তিনি। কী করে অন্য একটি দেশের সঙ্গে, দেশের জনগণের সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ে এমন বন্ধুতা গড়ে উঠতে পারে? আজ এতকাল পর উত্তরটি আমাদের কারও অজানা নয়। বস্তুত সায়মন ড্রিং নিজেই বাংলাদেশ ও বাঙালীর সঙ্গে এ সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন। সর্বাগ্রে তিনিই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন হাত। বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে সায়মন ড্রিং নামটি জড়িয়ে আছে। সেই ১৯৭১ সালের মার্চে যখন ঢাকায় গণহত্যা চলছিল, যখন গোটা দুনিয়া অন্ধকারে, যখন পাকিস্তানী মিথ্যাচার বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করে চলেছে তখন ‘সেই সত্য যা রচিবে তুমি’ মন্ত্রেই যেন এগিয়ে এসেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক। ‘সব ঠিক আছে’র বিপরীতে বাঙালীর ওপর বর্বর আক্রমণের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছিলেন। ১৯৪৫ সালের ১১ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের নরফোকে জন্ম গ্রহণ করেন সায়মন ড্রিং। ১৮ বছর বয়সে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির মতো আন্তর্জাতিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বৈদেশিক সংবাদদাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবেও খ্যাতি ছিল। জানা যায়, দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। যুদ্ধক্ষেত্রের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহতও হয়েছেন। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে সংবাদ সংগ্রহ করতে এসে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা মনে বিশেষভাবে দাগ কেটেছিল তার। বর্বর পাকিস্তান বাহিনী বাঙালীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে ২৫ মার্চ ঢাকার নিরীহ নির্দোষ এবং নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। গুলি চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছিল। ২৫ মার্চ রাত ১১টায় শুরু হলেও ২৬ মার্চ গোটা দিন এবং ২৭ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে ফের চলে বাঙালী নিধন। ইতিহাসের বর্বরতম এই গণহত্যা যখন চলছিল তখন কয়েকজন বিদেশী সাংবাদিক ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তবে হানাদার বাহিনী গোলা বারুদ নিয়ে রাস্তায় নামার মুহূর্তে তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২৫ মার্চ রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের অতিথি তালিকায় ৩৫ বিদেশী সাংবাদিকের নাম ছিল। এই ৩৫ জনের সবাই হোটেলের বাইরে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহের অনুমতি চান। কিন্তু অনুমতি না পেয়ে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তারা। সাংবাদিকদের ঠেকাতে হোটেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক মেজর তাদের গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। বলেন, ‘ইট ইজ গোয়িং টু বি টু ব্লাডি। বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। আমরা আমাদের লোকদের যদি গুলি করতে পারি, তোমাদের ওপরেও গুলি করতে পারব।’ এ অবস্থায় হোটেলের ভেতরে অবস্থান করতে বাধ্য হন তারা। ২৭ মার্চ সকালে বাংলাদেশ ছাড়া করতে সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিমানবন্দরে। সেখানে প্রত্যেককে বিবস্ত্র করে তল্লাশি চালানো হয়। সাংবাদিকদের ক্যামেরা ফিল্ম টাইপ রাইটার নোটবুকসহ লেখার প্রয়োজনীয় সব উপকরণ কেড়ে নেয়া হয়। পরে ঢাকা থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় করাচীতে। সেখান থেকে কেউ ব্যাঙ্ককে চলে যান। কেউ যান ভারতে। এদিকে, প্রকৃত সত্য খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন সায়মন ড্রিং। ঢাকায় ২৫ মার্চ আসলে কী ঘটেছে তা জানতে একরকম জীবনবাজি রাখেন। সে লক্ষ্যে হোটেলের ছাদে আত্মগোপন করেন। একই সময় আত্মগোপন করেন আরেক সাহসী তরুণ ফরাসী চিত্রগ্রাহক মিশেল লরেন্ট। হোটেলের আলমারির মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। চিত্রগ্রাহককে পাওয়ায় সংবাদ সংগ্রহে সুবিধা হয় সায়মনের। তাকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিন ঢাকা ঘুরে গণহত্যার চিত্র প্রত্যক্ষ করেন তিনি। সায়মনের ভাষায় : সচেতনভাবেই আমি থেকে গেলাম। এই শহরে কী তান্ডব চলছিল আমাকে তা প্রকাশ করতেই হবে। প্রাণপণে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ২৭ মার্চ সকালে বিদেশী সাংবাদিকদের নিয়ে ট্রাক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত হোটেলের ছাদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের প্রধান যন্ত্রটার পেছনে আমি লুকিয়ে থাকলাম। আমাকে এ কাজে সহায়তা করলেন হোটেলের কর্মচারীরা। পরের তিনদিন পাক সেনারা আমাদের তন্ন তন্ন করে খুঁজেছে, পায়নি। হোটেলের কর্মচারীরা একটা পুরনো গাড়িতে করে আমাদের শহর ঘুরিয়ে এনেছিলেন, যাতে গণহত্যার ছবি আমরা ধারণ করতে পারি। জানা যায়, পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূল মনে করলে হোটেল থেকে কৌশলে বের হন সায়মন। সরেজমিন ঘুরে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন। প্রথমে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলে। সেখানে ছাত্রদের মেরে মরদেহ স্তূপাকারে ফেলে রাখতে দেখেন তিনি। চারুকলায়ও প্রায় অভিন্ন চিত্র। নীলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকাগুলো ঘুরে একের পর এক নির্মম নিষ্ঠুর সত্য উদ্ঘাটন করে চলেন তিনি। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে গিয়ে দেখতে পান শত শত মরদেহ ট্রাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানীরা। গণহত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের পর বিশ্ববাসীর কাছে তা তুলে ধরতে উদ্যোগী হন তিনি। এ জন্য বাংলাদেশ থেকে বের হতে হয় তাকে। এ সময় বিমানবন্দরে চরম হেনস্তা করা হয় তাকে। ব্যাপক তল্লাশির মুখোমুখি হন। তার সঙ্গে থাকা ক্যামেরা রেখে দেয়া হয়। পায়ের মোজায় জরুরী কাগজ লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেগুলোও কেড়ে নেয়া হয়। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে পাকিস্তানের করাচীতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানীরা। কিন্তু সায়মন বুঝতে পারছিলেন, পাকিস্তান গেলে তিনি সত্যটুকু লিখতে পারবেন না। তাই চলে যান ব্যাঙ্ককে। ব্যাঙ্কক থেকে টেলিগ্রামে গণহত্যার খবর পত্রিকা অফিসে পৌঁছে দেন তিনি। ৩০ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রতিবেদনটি ছাপা হয়। ‘ট্যাংকস ক্র্যাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে ঢাকার আসল ছবি ফুটে ওঠে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বাইরের দেশের মানুষজনের জানার সুযোগ হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত সৃষ্টিতে প্রদিবেদনটি বড় ভূমিকা রাখে। সায়মন তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ‘আল্লাহর নামে আর অখন্ড পাকিস্তান রক্ষার অজুহাতে ঢাকা আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ভীতসন্ত্রস্ত এক নগর। পাকিস্তানী সেনাদের ঠান্ডা মাথায় টানা ২৪ ঘণ্টা গোলাবর্ষণের পর এ নগরে কিছু আর অবশিষ্ট নেই।’ সায়মনের ধারণা হয়েছিল, ভয়ঙ্কর গণহত্যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিকে আর হয়ত সামনেই আসতে দেবে না। বাঙালীকে হয়ত এখানেই থামতে হবে। প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথাও লিখেছিলেন তিনি। বাস্তবে স্বাধীনতা অর্জন করে তবেই ঘরে ফিরেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। নিজের ধারণা ভুল প্রমাণিত হওয়ায় প্রফুল্ল চিত্তেই পরবর্তীতে তিনি লিখেছেন, আমি বড় এক ভুল করে বসলাম। প্রতিবেদনে লিখে দিলাম, শুধু ঢাকাতেই অন্তত সাত হাজার মানুষের মৃত্যুতে বাংলাদেশে স্বাধীনতার সংগ্রাম হয়ত মাঝপথেই শেষ হয়ে যাবে। আমার ধারণা পরে ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। সত্যিকার অর্থে হোটেলের যে লোকগুলো আমাকে লুকিয়ে রেখে বিপুল সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, তাদের মানসিক শক্তির কথা আমি ভাবতে পারতাম। আমার উপলব্ধি করা উচিত ছিল যে, সংগ্রামের পথে সাধারণ বাঙালীর যে মনোবল ও ক্ষমতা তা তখনও অটুট ছিল। প্রকৃতপক্ষে ওটাই ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামে জয়ী হওয়ার প্রধান কারণ। এ সংক্রান্ত আলোচনায় আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে, বিষয়টি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়ে আসছে। বলা হয়ে থাকে, সায়মন ড্রিংয়ের সংবাদটিই বাংলাদেশের গণহত্যার কথা প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে প্রকাশ করে। কিন্তু সাম্প্রতিককালের গবেষণা দেখা গেছে, সায়মনের সংবাদটি প্রকাশের আগেও কোন কোন বিদেশী পত্রিকায় বাংলাদেশে নির্বিচারে মানুষ হত্যা ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে সায়মন ড্রিংয়ের প্রতিবেদনটি ছিল সরেজমিন। ফলে অনেক বেশি রিয়ালিস্টিক হয়ে ধরা দিয়েছিল। আলাদা সাড়া ফেলেছিল সংবাদটি। সায়মন ড্রিংয়ের সেই প্রতিবেদনের কোন কপি আজ আর বাংলাদেশে আছে কিনা তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেন না। অনুমান করা হয় আরও অনেক ঐতিহাসিক দলিলের মতো এটিও সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। বর্তমানে এর কিছু স্ক্রিনশটই শুধু পাওয়া যায়। এর বাইরে বিষয়ের ওপর জাতীয় জাদুঘর কিছু কাজ করেছিল বলে জানা যায়। ১৯৭২ সালে জাদুঘরের মূল দায়িত্বে থাকা গবেষক ও জাদুঘরবিদ ড. ফিরোজ মাহমুদ সায়মন ড্রিংয়ের টেলিগ্রামের একটি কপি সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি জানান, ১৯৭১ সালের মার্চে ব্যাঙ্কক থেকে টেলিগ্রামে গণহত্যার খবর নিজ পত্রিকা অফিসে পাঠান সায়মন ড্রিং। টেলিগ্রামের একটি হুবহু কপি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সংগ্রহ করেন ফিরোজ মাহমুদ। তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ ধরনের ডকুমেন্ট দেশে আসত। তিনি জানান, এটি বর্তমানে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। তবে গ্যালারিতে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়নি। একই প্রসঙ্গে আরেকটি বেদনাদায়ক ঘটনার কথা উল্লেখ না করলেই নয়। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছিল বিএনপি সরকার। সায়মন ড্রিং তখন বাংলাদেশে। এ দেশের জন্য কিছু করতে চান। বেছে নেন টেলিভিশন সাংবাদিকতাকে। বাংলাদেশে টেলিভিশন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তিনি বিপ্লব এনে দেন। সেই মানুষটিকে কোন ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ না দিয়ে, বলা চলে, এক কাপড়ে দেশ ছাড়া করেছিল খালেদা জিয়ার সরকার। বিমানে উঠে সায়মন দুঃখ করে বলেছিলেন, একাত্তরে পাকিস্তানীরা আমাকে বাংলাদেশ থেকে তাড়িয়েছিল। আজ স্বাধীন দেশটি থেকে বিতাড়িত হলাম। অবশ্য পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী সরকার ক্ষমতায় এলে তাকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়। সায়মনও বাংলাদেশের জন্য আরও কিছু করার চিন্তা করছিলেন। মৃত্যুর খবরের সঙ্গেই এসেছে আরেকটি খবর, সায়মন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বড় একটা কাজ করতে চান। হায়, বড় মানুষের এবারের বড় কাজটি আর সম্পন্ন করা হলো না! তবে জীবনবাজি রেখে হলেও সত্য তুলে ধরার যে আদর্শ তিনি আমাদের সামনে রেখে গেছেন তা নিশ্চয়ই চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে।
×