৫৬ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে একক প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন বোর্ডের দীর্ঘ বৈঠকে দলীয় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্যাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্লেন (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ। দীর্ঘ বৈঠকে আগে যারা বিদ্রোহী ছিলেন এবারও তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই, দলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক এবং বিশেষ করে করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। কয়েকজন নারীকে এবার দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে। অভিযোগের কারণে আগের কয়েকজন মেয়রকে এবার আর মনোনয়ন দেয়া হয়নি। বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে কোভিড-১৯ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম চালান দেশে পৌঁছবে। সেগুলো কিভাবে এবং কাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিনটি দেয়া হবে সে নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে দলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মেয়র পদে দলের একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। ৫৬ পৌরসভায় নৌকার মাঝি হলেন যাঁরা- ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে আঞ্জুমান আরা বেগম, রাণীশংকৈলে মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট সদর পৌরসভায় মোফাজ্জল হোসেন, পাটগ্রাম সদরে রাশেদুল ইসলাম সুইট, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুরে শহীদুল আলম চৌধুরী, কালাইয়ে মোছা. রাবেয়া সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভায় সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভায় হাফিজুর রহমান হাফিজ, গোদাগাড়ীতে আয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, তানোরে ইমরুল হক, বাগমারার তাহেরপুরে আবুল কালাম আজাদ, নাটোরের বড়াইগ্রামে মাজেদুল বারী নয়ন, নাটোর সদরে উমা চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর পৌরসভায় রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গায় হাসান কাদির গনু, যশোরের চৌগাছায় নূর উদ্দীন আল-মামুন, বাঘারপাড়ায় মোঃ কামরুজ্জামান, বাগেরহাট সদরে খাঁন হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরায় শেখ নাসেরুল হক, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, বরিশালের মুলাদীতে মোঃ শফিকউজ্জামান, বানারীপাড়ায় সুভাস চন্দ্র শীল, ঢাকার গোপালপুরে রকিবুল হক ছানা, কালিহাতীতে মোহাম্মদ নুরুন্নবী, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুরে আবদুল কাইয়ুম খোকন, করিমগঞ্জে মুসলেহ উদ্দিন, মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে আবদুস ছালাম, নরসিংদীতে আশরাফ হোসেন সরকার, মাধবদীতে মোশাররফ হোসেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী সদরে মহম্মদ আলী চৌধুরী, ফরিদপুরের নগরকান্দায় নিমাই চন্দ্র সরকার, মাদারীপুরের কালকিনিতে এস এম হানিফ, শরিয়তপুরের ডামুড্যায় কামাল উদ্দিন আহমদ, জামালপুরের মেলান্দহে শফিক জাহেদী রবিন, শেরপুর সদরে গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, শ্রীবরদীতে মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, ময়মনসিংহের ফুলপুরে শশধর সেন, নেত্রকোনা সদরে নজরুল ইসলাম খান, সিলেটের কানাইঘাটে লুৎফুর রহমান, চুনারুঘাটে মোহাম্মদ সাইফুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াতে তাকজিল খলিফা, কুমিল্লার হোমনাতে নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দিতে নাইম ইউসুফ, চাঁদপুরের কচুয়ায় নাজমুল আলম, ফরিদগঞ্জে আবুল খায়ের পাটওয়ারী, ফেনীর পরশুরামে নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নোয়াখালীর চাটখিলে নিজাম উদ্দিন, সোনাইমুড়িতে নুরুল হক চৌধুরী, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে এম মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মোহাম্মদ জোবায়ের. পটিয়ায় আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশে মু. মাহবুবুল আলম, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শামছুল হক, রাঙ্গামাটি সদরে আকবর হোসেন চৌধুরী এবং বান্দরবানে মোহাম্মদ ইসলাম বেবী মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় এসব পৌরসভার নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।