ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল নায়কসহ ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

জোড়াতালি দেয়া হাত পা নিয়ে বেঁচে আছেন তারা

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২০ আগস্ট ২০২০

জোড়াতালি দেয়া হাত পা নিয়ে বেঁচে আছেন তারা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ‘জোড়াতালি দেয়া হাত-পা নিয়ে বেঁচে আছি। পঙ্গুত্বের জীবন যে কী কষ্টের, কী যে ভয়াবহ- সে কথা পঙ্গু না হলে জানা যায় না। আমার সুন্দর জীবনটা হারিয়ে গেছে। সেই মৃত্যু-রক্তস্রোতের ভয়ঙ্কর স্মৃতি আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। গ্রেনেডের ঘাতক স্পিøন্টারের সঙ্গেই আমাদের নিত্য বসবাস। বিভীষিকাময় সেই ভয়াল দিনটির কথা মনে হলে এখনও মৃত্যু যেন হাতছানি দেয়। বিভীষিকাময় ঘটনাটির নারকীয় স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায় সবসময়। তখন জীবনযন্ত্রণা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আরও শক্ত করে। মাথা, বুক, দুই পা, পেট-সর্বাঙ্গে বিঁধে আছে অসংখ্য ঘাতক স্পিøন্টার। শরীরের যেখানেই হাত দেই সেখানেই ঘাতক গ্রেনেডের স্পিøন্টার। মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেই চলছে আমাদের নিত্যজীবন।’ বুধবার জনকণ্ঠের কাছে এভাবেই আবেগজড়িত কণ্ঠে ১৬টি বছর ধরে সর্বাঙ্গে বিঁধে থাকা ২১ আগস্টের গ্রেনেডের স্পিøন্টারের তীব্র যন্ত্রণায় পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে থাকার কথা জানালেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিমা ফেরদৌসী। প্রতিনিয়ত ভয়াল স্পিøন্টারের যন্ত্রণায় দগ্ধ হলেও মনোবল ও সাহস আগেও হারাননি, এখনও অটুট আছে তাঁর। ক্র্যাচ ও লাঠির ওপর ভর করেই দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছেন প্রায় প্রতিদিনই। জীবন্মৃৃত হয়ে বেঁচে থাকা নাসিমা ফেরদৌসী তাঁকে গত নির্বাচনের পর এমপি করে মূল্যায়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যেমন কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, ঠিক তেমনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল নায়কসহ ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দৃঢ়কণ্ঠেই। বলেন, ওই ভয়াবহ হামলায় মহান আল্লাহ বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে প্রাণে রক্ষা করেছেন বলেই আহতদের সব সময় খোঁজ নিচ্ছেন, নানাভাবে মূল্যায়ন করছেন। হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করতেন তবে যেটুকু পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছি, তাও পারতাম না। আল্লাহর দরবারে সবসময় প্রার্থনা করি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যেন দীর্ঘজীবী করুন। তিনি ভাল থাকলে দেশ ভাল থাকবে, দেশ আরও এগিয়ে যাবে, হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাসহ পুরো আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে পরিচালিত এই ভয়াল গ্রেনেড হামলার ঘটনাটি দেখতে দেখতে ১৬টি বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বীভৎসা ও ভয়াল স্মৃতি এতটুকু ম্লান হয়নি সর্বাঙ্গে বিঁধে থাকা স্পিøন্টারের তীব্র যন্ত্রণায় পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবন্মৃত অবস্থায় বেঁচে থাকা আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীর। সেই মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্রোতের ভয়ঙ্কর স্মৃতি আজও তাঁদের তাড়া করে। তাঁরা জীবিত থেকেও যেন মৃত। প্রত্যেকের শরীরেই বীভৎস ক্ষতের চিহ্ন। বরং জীবনযন্ত্রণা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে তাদের আরও শক্ত করে। স্পিøন্টারের বিষক্রিয়ায় শরীরেও দেখা দিয়েছে নানা উপসর্গ। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে এখনও বেঁচে আছেন আহত নেতাকর্মীরা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ এই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী নিহত এবং পাঁচ শতাধিকেরও বেশি নেতাকর্মী আহত হন। এই নারকীয় বীভৎস হামলার ঘটনার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও এর বিচার হয়নি, শান্তি পায়নি নরপিশাচ ঘাতকরা। ১৬ বছর আগে ২১ আগস্টের সেই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় আহত অধিকাংশ নেতাকর্মীর অনুভূতি প্রায় একই রকম। সময়ের সঙ্গে কষ্টের তীব্রতা এতটুকুও কমেনি তাঁদের। এই ভয়াবহ রাজনৈতিক জিঘাংসার শিকার অনেকেই আজ পঙ্গু। কেউ চলৎশক্তিহীন। কেউ হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। অনেকে প্যারালাইস হয়ে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করছেন, অনেকের জীবনেই এখন ক্রাচই চলাফেরার নিত্যসঙ্গী। অনেকেরই শরীরে রয়ে গেছে অসংখ্য স্পিøন্টারের অস্তিত্ব। অনেকেরই শরীরে দগদগে ক্ষতের চিহ্ন জানান দিচ্ছে সেই ভয়াল দিনের মরণছোবলের বীভৎসতা। দলের অনেক সিনিয়র নেতাও গ্রেনেডের স্লিন্টারের তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করেও প্রতিদিন দলীয় কর্মকা-ে অংশ নিচ্ছেন, নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দলের। পেঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে জীবন্মৃত অবস্থায় বেঁচে থাকা আওয়ামী লীগের বেশকিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা তাঁদের দুঃসহ জীবন-যাপনের করুণ অবস্থার বর্ণনা দেন। নাসিমা ফেরদৌসীর মতো অসংখ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সর্বাঙ্গে বিঁধে থাকা গ্রেনেডের স্পিøন্টারের দুঃষহ যন্ত্রণা নিয়েই দলীয় কর্মকা-ে সরব রয়েছেন। রাজপথের সাহসী নেতা, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ভয়াবহ রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনিও ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছিলেন। দেশ-বিদেশে চিকিৎসার পর এখনও সর্বাঙ্গে অসংখ্য ঘাতক স্পিøন্টার বিঁধে রয়েছে। বাহাউদ্দিন নাছিম তাঁর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জনকণ্ঠকে জানান, ঘাতক গ্রেনেডের দুঃষহ যন্ত্রণা নিয়েই আমার দিন কাটছে। অমাবস্যা ও শীতকাল এলে যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। যন্ত্রণা থেকে কিছুটা রক্ষা পেতে আমাদের গরমের মধ্যেও গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হয়। স্পিøন্টারের এই যন্ত্রণা এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। তবে যতই যন্ত্রণা হোক, সমস্যা হোক- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। তিনি ২১ আগস্টের ঘাতকদের বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, ১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ারা এই হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা এবং আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ নেতৃত্বশূন্য করার নীলনক্সা থেকেই এই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পাকিস্তানি আইএসআইয়ের টাকা নিয়ে নীতি ও আদর্শহীন সাম্প্রদায়িক জঙ্গী গোষ্ঠী বিএনপি-জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্র এখন থেমে যায়নি। সুযোগ পেলে তারা আবারও ছোবল হানার চেষ্টা করবে। আর যাতে এদেশে কোনদিন ১৫ ও ২১ আগস্টের মতো ঘটনা না ঘটে সেজন্য দেশের সকল প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্বের বুকে আরও মর্যাদা নিয়ে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারব। এমনি দেহে অসংখ্য স্পিøন্টার নিয়ে রাজনীতির মাঠ সক্রিয় মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভানেত্রী ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আসমা জেরিন ঝুমু। বুধবার জনকণ্ঠের সঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। বলেন, গ্রেনেড হামলার ঘটনার ১৬ বছর হয়ে গেল, এখনও হাত-পা সোজা করতে পারি না। বয়স যত বাড়ছে বিঁধে থাকা গ্রেনেডের স্লিন্টারের ব্যথা ততই যেন তীব্র হচ্ছে। এখন রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। কয়েকটা স্পিøন্টার আমার হার্টের পাশ দিয়ে আঘাত করেছে। প্রতিদিন ওষুধ আর গরম পানির সেঁক দিয়ে বেঁচে থাকা। আহত অন্যদের মতো সাবেক এই এমপিও দ্রুত গ্রেনেড হামলাকারী ও মূল পরিকল্পনাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি জানান। তিনি বলেন, এই হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তাই খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ হামলাকারীরা যত বড়ই নেতা বা শক্তিশালী হোক- দ্রুত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। বেঁচে থাকতে হামলাকারীদের বিচার হলে আমরা আহতরা যেমন কিছুটা হলেও শান্তি পাব, তেমনি গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মা শান্তি পাবে। নাসিমা-ঝুমা-দীপ্তি-রুমা-পারভীনদের মতো আওয়ামী লীগের অনেক জ্যেষ্ঠ ও প্রবীণ নেতাও দেশে ঘাতক গ্রেনেডের স্পিøন্টার নিয়েও রাজনীতির মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সর্বাঙ্গে বিঁধে থাকা ঘাতক স্লিন্টারের তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করেই মারা গেছেন প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মোহাম্মদ নাসিম, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনসহ শীর্ষ নেতাই। এখনও অনেক কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাই মরণঘাতী গ্রেনেডের স্পিøন্টারের যন্ত্রণাদগ্ধ অভিশাপ নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের রাজনৈতিক জীবন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুসহ ক’জন নেতা-মন্ত্রী ও এমপির দেহেও বিঁধে অসংখ্য ঘাতক স্পিøন্টার। আমৃত্যু তাঁদের মতো সব নেতা-কর্মীকেই এই জীবনযন্ত্রণা ভোগ করেই পথ চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তৎকালীন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ শীর্ষ নেতাকেই গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে যন্ত্রণাদগ্ধ রাজনৈতিক জীবন চালাতে হচ্ছে। গ্রেনেডের যন্ত্রণা নিয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রবীণ নেতা আবদুর রাজ্জাক, ঢাকার মেয়র মোহাম্মদ হানিফও। ভয়াল গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুজাল ছিন্ন করে প্রাণে বেঁচে গেলেও স্পিøন্টার তাঁদের পিছু ছাড়েনি। দীর্ঘ ১৬টি বছর পেরিয়ে গেলেও এসব মানুষের দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি। আমৃত্যু এমন জীবনযন্ত্রণা ভোগ করতে হবে, এটা ভেবেই অসহায়-বেদনার্ত আহাজারি প্রতিটি আহতদের মাঝে। কারোর চোখ নেই, কেউ কানে শোনেন না। কেউ হাত-পা বাঁকা করে সব সময় চলাফেরা করছেন, শরীর সোজা করে এখনও শুতে পারেন না অনেকেই। এমনকি তাঁদের দেহে একটু স্পর্শ করলেই ব্যথায় চিৎকার দিয়ে ওঠেন। জীবনযন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকলেও ওই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় আহতরা নেতাকর্মীরা এখন ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। যে দলটিকে নিশ্চিহ্ন করতে ঘাতকরা গ্রেনেড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। গ্রেনেডের আঘাতে যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে, ছন্দপতন ঘটিয়েছে স্বাভাবিক জীবনের- তাদেরই সবারই এখন প্রত্যাশা- বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। রায়ও কার্যকর হয়েছে। এখন ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার রায়ও দ্রুত কার্যকর করা হোক, ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক। আহত অনেক নেতাকর্মীই আলাপকালে তাঁদের দুঃষহ জীবনযাত্রার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি। তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে এই ভয়াল গ্রেনেড হামলার পর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকা অবস্থাতেও শেখ হাসিনা আহত সবার দেখভাল করেছেন, গুরুতর আহতদের দফায় দফায় বিদেশ পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসা করিয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পরও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের মাধ্যমে আহতদের চিকিৎসা, ওষুধপত্রসহ আর্থিক নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে সবার কণ্ঠেই ছিল ২১ আগস্টের ঘাতকদের প্রতি তীব্র ঘৃণা-ধিক্কার।
×