অনলাইন ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার বিষয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১০ টা দুদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও অন্যান্যরা জনসাধারণের সঙ্গে করোনা সনদ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা অর্জন করেছে। এই অভিযোগে চলমান অনুসন্ধানে আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ’র নেতৃত্বে অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
একই অভিযোগে ১২ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
এছাড়া নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় অনিয়মের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে বুধবার (১২ আগস্ট) প্রথমদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যরা।
১২ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সিএমএসডি কর্তৃক কোভিড সংশ্লিষ্ট ক্রয় বিষয়ে অভিযোগ উঠায় দুদক তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে আমি কী জানি তা শুনার জন্য দুদকের কর্মকর্তারা আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি তা বিস্তারিত বলেছি।’
নিজেকে ‘নিষ্ঠাবান, দক্ষ ও সফল’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি একজন কঠোর পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবাদ, সৎ, দক্ষ, সফল ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে সারাজীবন কাজ করেছি। কেউ অপরাধ করলে কঠোর শাস্তি হোক তা আমি চাই। এ বিষয়ে তদন্তে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: