ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ফের আলোচনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ৬ জুলাই ২০২০

ফের আলোচনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবার আলোচনায় এসেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট। বিদ্যমান সরকারী নিয়ম মেনে আবারও কন্ট্রাক্ট রিসার্চ ফার্মের (সিআরও) মাধ্যমে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে তাদের এ্যান্টিবডি কিটের সক্ষমতা (ভ্যালিডেশন) যাচাই করতে বলেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। রবিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা এ্যান্টিবডি কিটের সেনসিটিভিটি গ্রহণযোগ্য মাত্রার নিচে হওয়ায় নিবন্ধন দেয়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। রবিবার বৈঠক শেষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডাঃ মুহিব উল্লাহ খোন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর আমাদের কথা ইতিবাচকভাবে শুনেছেন। এ্যান্টিবডি কিটের বিষয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ বৈধ রিপোর্ট আমলে এনে নিবন্ধন দেয়ার অনুরোধ করেছি আমরা। তারা বিদ্যমান সরকারী নিয়মে আবার সিআরও এর মাধ্যমে ইউএস এফডিএ আমব্রেলা গাইডলাইন্স অনুযায়ী এক্সটারনাল ভেলিডেশন করতে বলেছেন। আগামী বুধবার এ্যান্টিজেনের নীতিমালা ফাইনাল হবে। তারপর ঔষধ প্রশাসন আমাদের একটা ফরম্যাট পাঠাবে। সেই অনুযায়ী প্রটোকল আপডেট করে জমা দিতে বলা হয়েছে। ডাঃ মুহিব উল্লাহ বলেন, নতুন কিছু করতে গেলে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আবার একইরকম সিআরও’র মাধ্যমে এক্সটারনাল ভেলিডেশন করতে হবে। তারা যে নতুন গাইডলাইন দিয়েছে, সেটা অনুযায়ী করতে হবে। আমরা সেটা করব বলে জানান ডাঃ মুহিব উল্লাহ। এর আগে ১৭ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন জমা দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে। কিন্তু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা এ্যান্টিবডি কিটের সেনসিটিভিটি প্রহণযোগ্য মাত্রার নিচে হওয়ায় নিবন্ধন দেয়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এদিকে, গত ২২ এপ্রিল থেকে কিটটি নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের টানাপোড়ন চলে। গত শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা শনাক্তকরণ কিট সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। তবে ওই অনুষ্ঠানে সরকারের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। পরে অনুমোদনের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ম অনুযায়ী কন্ট্র্যাক্ট রিসার্চ ফার্মের (সিআরও) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এতেই বেঁকে বসেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনও করে। গত ১৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। পরে ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনের সরকারী অনুমোদন পায় প্রতিষ্ঠানটি। করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের ‘জিআর র‌্যাপিড ডট ব্লট ইমিউনোএ্যাসি’ কিট তৈরির জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দলের নেতৃত্ব দেন ড. বিজন কুমার শীল। অন্য গবেষকরা হলেন, ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ ও সিঙ্গাপুরের একজন গবেষক। ৫ এপ্রিল চীন থেকে কিট তৈরির কাঁচামাল আমদানি করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
×