ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এমপি পাপুল পরিবারের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২১:১৮, ২২ জুন ২০২০

এমপি পাপুল পরিবারের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন বন্ধের নির্দেশ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তার নিজের ও স্ত্রী, মেয়ে এবং শ্যালিকার ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিআইএফইউ) প্রধান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দুদকের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চিঠিতে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে অনুরোধ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। চিঠিতে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ‘জরুরি ভিত্তিতে’ অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে দিতেও অনুরোধ করা হয়। কুয়েত সরকারের হাতে গ্রেপ্তার পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগে ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক। জনশক্তি রপ্তানিকারক পাপুলকে গত ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন লক্ষ্মীপুরের আসনটিতে। ওই নির্বাচনে ওই আসনটি আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেষ মূহূর্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়ালে বিএনপি ঠেকাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পাপুলের পক্ষে কাজ করেছিলেন। পাপুল নিজে এমপি হওয়ার পর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের কোটায় পাওয়া সংরক্ষিত একটি আসনে তার স্ত্রী সেলিনাকে এমপি করে আনেন। প্রবাসী উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠিত এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান পাপুল, যেখানে তার বড় অঙ্কের শেয়ার রয়েছে। পাপুলের মালিকানাধীন মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি কাজ করেন বলে কুয়েতে বাংলাদেশি কমিউনিটির ধারণা।
×