ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

পিএসজির ইচ্ছার বিরুদ্ধে খেলেছেন নেইমার

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 পিএসজির ইচ্ছার বিরুদ্ধে খেলেছেন নেইমার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কুফাই বলতে হবে। গত দুই বছর চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোতে খেলতে পারছেন না নেইমার। চোটের কারণে বারবার ছিটকে পড়তে হয় ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। এবারও একই অবস্থা হয়েছিল। ঘাতক চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। এমন সময় দোয়ারে চলে আসে আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লীগের দ্বিতীয় রাউন্ড। প্রতিপক্ষ জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। পরিপূর্ণ ফিটনেস না থাকায় পিএসজি চায়নি ম্যাচটিতে খেলুক নেইমার। কিন্তু অনেকটা জোর করেই জার্মান সফরে যেয়ে খেলেছেন ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচে গোলও পেয়েছেন সেলেসাও তারকা। কিন্তু তাতে দলের হার এড়াতে পারেননি। ডর্টমুন্ডের কাছে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচ ২-১ গোলে হেরেছে পিএসজি। ম্যাচ শেষে এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন নেইমার। তিনি বলেন, সর্বশেষ ম্যাচগুলোতে না খেলা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। আমি খেলতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল যে পারব। কিন্তু আমার ক্লাব (পিএসজি) ভয় পাচ্ছিল। এ জন্য আমাকেই ভুগতে হয়েছে। চোটে পড়ে গত দুই বছর ইউরোপ সেরার শেষ ষোলোর একটা ম্যাচেও খেলতে পারেননি নেইমার। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে পিএসজির হতাশাজনক বিদায় দেখেছেন ডাগআউটে বসে বসে। তখনই হয়তো প্রতিজ্ঞা করেছিলেন আর এমন হতাশা দেখবেন না। বিষয়টি স্মরণ করে নেইমার বলেন, গত দুই বছর আমি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারছি না চোটের কারণে। এ কারণে এই ম্যাচটা যে করেই হোক আমি খেলতে চেয়েছি। কিন্তু ক্লাব খেলতে দেয়ার ঝুঁকিটা নিতে চাচ্ছিল না। কারণ দিনশেষে যদি কিছু একটা হয়ে যায়, আমাকেই ভুগতে হবে। আমি ক্লাবের অবস্থান বুঝি। নেইমার বলেন, টানা চার ম্যাচ না খেলাটা বেশ কঠিন। দুর্ভাগ্যবশত আমার ইচ্ছেমতো সবকিছু হয় না। আমাকে না খেলানোর সিদ্ধান্তটা ক্লাবেরই ছিল, ডাক্তারদের সিদ্ধান্ত ছিল। তারা আমার ব্যাপারে যখন এই সিদ্ধান্তটা নিল, আমার ভাল লাগেনি। আমি অনেক আলোচনা করেছি তাদের সঙ্গে, কেননা আমি ম্যাচটা খেলতে চাচ্ছিলাম। অবশেষে খেলার পর অনুভূতি জানিয়ে নেইমার বলেন, ম্যাচটা বেশ কঠিন ছিল। টানা ৯০ মিনিট একই ছন্দে খেলতে হয়েছে। তবে আমার শরীরের অবস্থা ভাল থাকলে আরও ভাল খেলতে পারতাম। চলতি মৌসুমের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই ইনজুুরিতে ভুগেছেন নেইমার। এবার তিন ম্যাচ ছাড়াও গত বছরের অক্টোবরে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে ৬ ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলারকে।
×