ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কেনিন-স্যান্ডসের নৈপুণ্যে ফেড কাপে যুক্তরাষ্ট্রের জয়

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 কেনিন-স্যান্ডসের নৈপুণ্যে ফেড কাপে যুক্তরাষ্ট্রের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফেড কাপের এককে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলা প্রথম ১৪ ম্যাচের সবকটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। অবশেষে ভুলে যাওয়া সেই হারের স্বাদ পেলেন উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়ে। শনিবার তাকে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত করেন এ্যানাস্তাসিয়া সেভাস্তোভা। লাটভিয়ার এই খেলোয়াড় এদিন কঠিন লড়াইয়ের পর ৭-৬ (৭/৫), ৩-৬ এবং ৭-৬ (৭/৪) ব্যবধানে পরাজিত করেন সেরেনা উইলিয়ামসকে। সেরেনা হারলেও পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে আমেরিকা। মহিলা এককে যে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন সোফিয়া কেনিন। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আমেরিকান টেনিসের এই প্রতিভাবান খেলোয়াড় এদিন এককের অন্য ম্যাচে ৬-৩, ২-৬ এবং ৬-২ সেটে পরাজিত করেন লাটভিয়ার জেলেনা ওস্টাপেঙ্কোকে। এছাড়া আমেরিকার হয়ে ডাবলসে সোফিয়া কেনিন এবং বেথানি মাটেক স্যান্ডস ৬-৪ এবং ৬-০ ব্যবধানে পরাজিত করেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো এবং এ্যানাস্তাসিয়া সেভাস্তোভাকে। আর তাতেই ৩-২ ব্যবধানে লাটভিয়াকে হারিয়ে ফেড কাপের পরের রাউন্ডের টিকেট নিশ্চিত করেন সেরেনা-কেনিনরা। আগামী এপ্রিলে বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের পরের রাউন্ড। চলতি বছরের শুরুটা দারুণভাবে করেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। অকল্যান্ড ক্ল্যাসিকের চ্যাম্পিয়ন হয়ে দীর্ঘ তিন বছরের শিরোপাখরা ঘুচান তিনি। কিন্তু নতুন মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ২৩ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। রাউন্ড অব ৩২ থেকেই ছিটকে যান তিনি। তাও আবারও বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ২৭ নম্বরে থাকা ওয়াং কিয়াংয়ের কাছে হেরে। মেলবোর্নের পর ফেড কাপের মাধ্যমে আবারও কোর্টে ফিরেন তিনি। শুরুটা জয় দিয়েই করেন ৩৮ বছরের সেরেনা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরে যান তিনি। টানা ১৪ ম্যাচে জয় পাওয়া সেরেনা উইলিয়ামসকে এদিন পরাজয়ের স্বাদ উপহার দেন সেভাস্তোভা। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সেরেনাকে হারিয়ে লাটভিয়ার এই টেনিস তারকা তাই দারুণ খুশি। ম্যাচের শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে লাটভিয়ার এই খেলোয়াড় বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে খেলেছি। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই এখানকার জনতা সেরেনার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। তবে ম্যাচে আমি নিজের সেরাটা ঢেলে দিয়েই খেলেছি।’ কিন্তু প্রথমদিনে সেভাস্তোভা-ওস্টাপেঙ্কো উভয়েই হার মানেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই পরের রাউন্ডের টিকেট নিশ্চিত করে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের টিকেট নিশ্চিত হলেও ছিটকে গেছে গ্রেট ব্রিটেন। ব্রাটিস্লাভার কাছে ৩-১ ব্যবধানে হেরে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে জোহানা কন্টাদের। এদিকে দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে আবারও টেনিসে ফিরছেন কিম ক্লাইস্টার্স। এর আগে কখনও এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। এবারই প্রথম দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবেন তিনি। যে কারণে বেলজিয়ান তারকার কাছে এটা স্পেশাল। এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ক্লাইস্টার্স বলেন, ‘আবারও কোর্টে ফিরতে যাচ্ছি সেটা ভেবে সত্যি আমি রোমাঞ্চিত। আমি জানি দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপের এটা স্পেশাল বার্ষিকী। তাই এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আমার কোর্টে ফেরার পাশাপাশি অভিষেকও ঘটতে যাচ্ছে। আমার জন্য এটা তাই দারুণ সম্মানের।’ তবে ক্লাইস্টার্সের অবসর ভেঙ্গে ফিরে আসার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেই ২০০৭ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। বিয়ে করে সন্তানের মা হওয়ার আশা ছিল তখন ক্লাইস্টার্সের চোখেমুখে, যে কারণে টেনিসকে ‘বিদায়’ জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই ‘অবসর’ টিকেছিল মাত্র দুই বছর। পরে কোর্টে আরও তিনটি গ্র্যান্ডস্লাম জেতেন ক্লাইস্টার্স। এরপর ২০১২ সালে আবারও অবসর নিয়েছিলেন তিনি। সাত বছর কোর্ট থেকে দূরে থাকার পর আবারও কোর্টে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই বেলজিয়ান তারকা। কিন্তু আবারও কী ভেবে টেনিসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? ক্লাইস্টার্স জানান, ‘সেরেনা উইলিয়ামস বা ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার মতো খেলোয়াড়রা মা হওয়ার পরও নিয়মিত সর্বোচ্চ পর্যায়ে টেনিস খেলে যাচ্ছেন, তাই এটা একটা অনুপ্রেরণা আমার জন্য।’
×