ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরমিনো ঝলকে ফাইনালে লিভারপুল

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

ফিরমিনো ঝলকে ফাইনালে লিভারপুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্রাজিলিয়ান তারকা রবার্টো ফিরমিনোর শেষ মুহূর্তের গোলে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। বুধবার রাতে কাতারের দোহার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মেক্সিকান ক্লাব মন্টেরিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। শনিবার রাতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গো। আগের রাতে দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন ফ্লামেঙ্গো ৩-১ গোলে হারিয়েছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালকে। সেমির লড়াইয়ে অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন লিভারপুলেল রক্ষণের মূল ভরসা ভার্জিল ভ্যান ডাইক। শুরুর একাদশে ছিলেন না ফিরমিনো, সাদিও মানে, ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডরা। নিয়মিত একাদশের বেশ কয়েকজনকে ছাড়া চেনা ছন্দে দেখা যায়নি লিভারপুলকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পার্থক্য গড়ে দেন বদলি নামা ফিরমিনো। প্রথমার্ধে নাবি কেইটার গোলে লিভারপুল এগিয়ে যাওয়ার দুই মিনিট পরই ফুনেস মোরির গোলে সমতায় ফেরে মন্টেরি। শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও গোছান আক্রমণ করতে পারছিল না লিভারপুল। ভার্জিলের জায়গায় রক্ষণে খেলা মিডফিল্ডার জর্ডান হেন্ডারসন অপরিচিত পজিশনে ছিলেন কিছুটা নড়বড়ে। ১২ মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। মোহাম্মদ সালাহর দারুণ এক ডিফেন্স চেরা পাস ধরে লক্ষ্যভেদ করেন গিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক কেটতা। ১৪ মিনিটে সমতা ফেরায় মন্টেরি। প্রতিপক্ষের প্রথম চেষ্টা রুখে দিয়েছিলেন লিভারপুল গোলরক্ষক এ্যালিসন। তবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলগা বল পেয়ে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন ফুনেস মোরি। বিরতির আগে পরে বেশ কয়েকটি দারুণ সেভ করে দলকে লড়াইয়ে রাখেন এ্যালিসন। ৬২ মিনিটে ডিভোক অরিজি বল জালে জড়ালেও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বদলি নামা আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস থেকে বল পেয়ে গোল করেন ফিরমিনো। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে লিভারপুল। এর আগে ২০০৫ সালে তারা ফাইনালে হেরেছিল ব্রাজিলের ক্লাব সাওপাওলোর কাছে। এবার চ্যালেঞ্জ আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গো। মজার বিষয়, ম্যাচটিতে স্বদেশী ক্লাবের বিরুদ্ধে লিভারপুলের হয়ে খেলবেন দুই ব্রাজিলিয়ান তারকা গোলরক্ষক এ্যালিসন ও ফরোয়ার্ড ফিরমিনো। এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ৩৮ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ী লিভারপুল ও কোপা লিবের্টাডোরেস জয়ী ফ্লামেঙ্গো মুখোমুখি হচ্ছে। মঞ্চ একই। সেবার হেরেছিল লিভারপুল। শুধু তাই নয়, ফ্লামেঙ্গোর কাছে ফাইনালে হার ছাড়াও দ্য রেডসরা ১৯৮৪ সালের ফাইনালে হেরেছিল আর্জেন্টাইন ক্লাব ইন্ডিপেন্ডিয়েন্টে ও ২০০৫ সালে ব্রাজিলের সাওপাওলোর কাছে। অর্থাৎ এবার প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ লিভারপুলের সামনে।
×