ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ৪০১ গ্রাম বন্যা কবলিত

প্রকাশিত: ০২:৩৭, ২৪ জুলাই ২০১৯

টাঙ্গাইলে ৪০১ গ্রাম বন্যা কবলিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলে নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে। জেলার ৯টি উপজেলার ৪৬ ইউনিয়নের ৪০১টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। আর এতে প্রায় ৪ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া এসব গ্রামের রাস্তা এবং ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে ১৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর নদী ভাঙনে ফলে ১ হাজার ৩৩০ জন পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায়, জেলার ৯টি উপজেলার ৪৬ ইউনিয়নের প্রায় ৪০১টি গ্রাম বন্যা কবলতি হয়েছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত বা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ৪৮৭টি পরিবার। আর লোক সংখ্যা হলো ৪ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন। নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে প্রায় ১ হাজার ৩৩০টি পরিবারের লোকজন গৃহহীন হয়ে পড়েছে। আর নদীতে ২২ হাজার ৭৪টি পরিবারের আশংকি ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এছাড়া ভূঞাপুর উপজেলায় ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে পায় ২৪শ’ লোক আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মিলিয়ে অন্তত ১৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আংশিক ৫টি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ কাঁচা রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৮ কি.মি. ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯৬ কি.মি.। আংশিক পাঁকা রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ কি.মি.। এছাড়া জেলায় ৩৯টি মেডিকেল টিম কর্মরত রয়েছে। ইতিমধ্যে বর্নাতদের মধ্যে ৪২০ মে.টন চাল দেয়া হয়েছে এবং উপজেলাগুলোতে জি.আর ক্যাশ ৩ লাখ টাকা এবং অন্যান্য ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গো-খাদের জন্য ৪ লাখ ৮০ হাজার, শুকনো খাবার ২ হাজার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। যেসব উপজেলায় পানি প্রবেশ করেছে বা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো হলো- গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, টাঙ্গাইল সদর, মির্জাপুর, ঘাটাইল, বাসাইল এবং ধনবাড়ী। জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, বন্যার কারণে জেলায় বোনা আমন ৯১০৫ হেক্টর জমি, রোপা আমন (বীজতলা) ৬২৫ হেক্টর, রোপা আমন (আবাদ) ৪৮৭ হেক্টর, আউশ ১৩৭২ হেক্টর, বিভিন্ন ধরনের সবজি ১০৪৫ হেক্টর, পাট ৪৪৭ হেক্টর এবং কলা ২৫ হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিস জানায়, বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় ও সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী আসতে না পাড়ায় এবং কয়েকটি বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যহকার করায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রসা মিলিয়ে অনন্ত ১৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
×