ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশের পাঁচ কোটি লোক থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত

প্রকাশিত: ১০:০৪, ২৬ মে ২০১৯

 দেশের পাঁচ কোটি লোক থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ থাইরয়েড রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, এটি এক ধরনের নীরব ঘাতক রোগ। দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। কিন্তু তাদের মধ্যে তিন কোটি মানুষই এ সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানেন না। এ সম্পর্কে জনগণ খুব বেশি জানেও না। বিশ্ব থাইরয়েড দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত সচেতনতামূলক সভায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফারুক পাঠানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারডেম হাসপাতালের ডিরেক্টর জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ জাফর এ লতিফ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এস এম আশরাফুজ্জামান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এম এ হাসানাত, সহ-সভাপতি ডাঃ এম এ সামাদ, ইসি সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফরিদুদ্দিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সম্পাদক ডাঃ কাজী আলী হাসান, বিজ্ঞান ও গবেষণা সম্পাদক ডাঃ নাজমুল কবীর কুরায়েশী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ শাহজাদা সেলিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষের শরীরে অতিরিক্ত এ্যান্টিবডির সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এটা ক্ষতিকর। থাইরয়েডজনিত সমস্যা বিশ্বের এক নম্বর রোগ। এ রোগ প্রতিরোধ কিংবা চিকিৎসার ক্ষেত্রে জনসচেতনতাই মুখ্য। থাইরয়েড হরমোন কম বা বেশি নিঃসৃত হওয়া উভয়ই রোগের সৃষ্টি করে। তাই গর্ভধারণের আগে নারীদের অবশ্যই থাইরয়েড পরীক্ষা ও এ রোগের সম্ভাবনা থাকলে যথাযথ চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে তারপর গর্ভধারণ করা উচিত । তা না করলে বাচ্চাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। একজন পুরুষের বিপরীতে ১০ জন নারী থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফারুক পাঠান বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের প্রায় ২ শতাংশ ও পুরুষদের প্রায় ০.২ শতাংশ হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড ও হরমোনের বৃদ্ধিজনিত সমস্যা) রোগে ভোগেন। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারীদের মধ্যে ৩.৯ শতাংশ থেকে ৯.৪ শতাংশ হারে হাইপোথাইরয়েডিজম থাকতে পারে। আর প্রায় ৭ ভাগ নারী ও পুরুষ সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজমে ভোগেন।
×