ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হকারদের দখলে

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

 সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হকারদের দখলে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বছরের শুরুতে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার সড়কে ফুটপাথ দখল করে বসা হকার উচ্ছেদ করে মডেল সড়ক করার ঘোষণা করে বিভাগীয় প্রশাসন ও সিলেট চেম্বার। সিটি কর্পোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে ওই সড়কের শহীদ মিনারের সামনে পর্যন্ত হকার উচ্ছেদ করে যানজটমুক্ত ‘মডেল সড়ক’ করেও। কিন্তু এত কিছুর পর সপ্তাহ না ঘুরতেই তা আবার দখল হয়ে যায়। হকার উচ্ছেদ নিয়ে বরাবরই পুলিশ প্রশাসনের নীরবতার কারণে হকারদের দৌরাত্ম্যের কাছে বার বার ‘পরাজিত’ হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও ব্যবসায়ী নেতারা। বিভিন্ন সময় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত হলেও এর খানিক পরে হকাররা আবারও জায়গায় চলে আসে। তবে তাদের পেছনে যে বিশাল এক অদৃশ্য শক্তি রয়েছে সেটা বুঝতে কারো বাকি নেই। যার ফলাফল কিন ব্রিজ থেকে জিন্দাবাজার পর্যন্ত দখলের পর এবার তাদের দখল জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা পয়েন্ট পর্যন্ত। সিলেট নগরের সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশের ফুটপাথ আগে থেকেই হকারদের অবৈধ দখলে। সেই সঙ্গে এবার তাদের দখলের আওতায় এসেছে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের ফুটপাথও। ফলে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার ঢেকে গেছে হকারদের থরে থরে সাজিয়ে রাখা কাপড়সহ জিনিসপত্রে। সিলেট মহানগরের ব্যস্ততম এলাকা চৌহাট্টা পয়েন্ট। একটু সামনে এলেই সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। কদিন আগেও মানুষজন এর সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেও দাঁড়িয়ে কিংবা উঁকি দিয়ে দেখতেন ভাষা আন্দোলনের এ স্মারককে। কিন্তু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সেই সৌন্দর্য এখন আর বাইরে থেকে দেখা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কারণ সামনের পুরোটা ফুটপাথ দখলে নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। বাপা সিলেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, শহীদ মিনারের সামনের ফুটপাথ এমনভাবে দখল হয়েছে যে স্বস্তিতে হাঁটা ও দৃষ্টিনন্দন এ স্থাপনাটি কোনভাবেই দেখার উপায় নেই। তিনি বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার, এখানে যে শহীদ মিনার আছে তা দূর থেকে বোঝা মুশকিল। দুই পাশেই দোকান, এছাড়া প্রায় সময় শহীদ মিনারের গেটে রেখেও কাপড় বিক্রি করা হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, শহীদ মিনারের সামনের ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকেও এব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।
×