ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় ক্রিকেট লীগ

মজিদ-সাদিকুরের সেঞ্চুরি, মনিরের ৫ উইকেট

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৭ নভেম্বর ২০১৮

মজিদ-সাদিকুরের সেঞ্চুরি, মনিরের ৫ উইকেট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ২০তম জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডের দ্বিতীয়দিনে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের ওপেনার সাদিকুর রহমান ও ঢাকা বিভাগের ওপেনার আ্ব্দুল মজিদ। উভয় দল এ দুটি সেঞ্চুরিতে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে নিজেদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আর রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ৫ উইকেট শিকার করেছেন বরিশালের স্পিনার মনির হোসেন। ফলে দ্বিতীয়দিন শেষে ১৮৩ রানের বড় লিড পেয়েছে বরিশাল। আর খুলনা বিভাগকে ২৬১ রানে গুটিয়ে দিয়ে দিনশেষে রংপুর বিভাগ ৪ উইকেটে ১২৬ রান তুলেছে। প্রথম স্তর ॥ স্বাগতিক রাজশাহী নিজেদের মাঠ শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়দিন শেষেই বিপাকে পড়েছে। প্রথমদিনে বরিশালকে মাত্র ৯৭ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর রাজশাহীও বেশিদূর যেতে পারেনি। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১২৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে তাদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১৬০ রানেই। জুনায়েদ সিদ্দিকীর ১৪৫ বলে ১২ চারে ৭৮ রানই সর্বোচ্চ রান। এছাড়া ফরহাদ রেজা ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাঁহাতি স্পিনার মনির ১১ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন। কামরুল ইসলাম রাব্বি ও সোহাগ গাজী ২টি করে উইকেট নেন। দিনশেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৪৬ রান করে ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বরিশাল। আল-আমিন ৩ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি ১৩১ বলে ১৭ চারে ৯৭ রান করেন। বরিশাল ১০৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে নুরুজ্জামানের (৪৫) সঙ্গে ১২৮ রানের জুটি গড়েন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া পেসার মোহর শেখ এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ৩ উইকেট। বগুড়ায় দ্বিতীয়দিনে খুলনার প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ২৬১ রানে। মইনুল ইসলাম ৫৪ রান করেন। রংপুরের পক্ষে ৩টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন তানভীর হায়দার, সাজেদুল ইসলাম ও রবিউল হক। দিনশেষে রংপুর প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৪ উইকেটে ১২৬। ওপেনার মেহেদী মারুফ ৪২ রানে ফেরার পর সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩৫ রানে অপরাজিত আছেন। এখনও রংপুর পিছিয়ে ১৩৫ রানে। দ্বিতীয় স্তর ॥ কক্সবাজারের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগেরদিন ৫ উইকেটে ২৬৫ রান তোলা ঢাকা মেট্রোপলিশের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৩২৮ রানে। আগেরদিন ১১০ রান করা মার্শাল আইয়ুব আর কোন রান করতে পারেননি। পরে শরীফুল্লাহর ৫৯ বলে করা ৪০ রানে ভাল সংগ্রহ পায় মেট্রো। চট্টগ্রামের হয়ে নাইম হাসান ৪টি ও শাখাওয়াত হোসেন ৩টি উইকেট নেন। দিনশেষে ওপেনার সাদিকুর রহমানের ১৮৫ বলে ৭ চারে অপরাজিত ১০০ ও পিনাক ঘোষের ১৩১ বলে ১১ চারে করা ৭৬ রানে ৩ উইকেটে ১৯৬ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। কাজী অনিক নিয়েছেন দুটি উইকেট। একাডেমি মাঠে ২৩৮ রানেই শেষ হয়েছে আগেরদিন ৬ উইকেটে ২২০ করা সিলেটের প্রথম ইনিংস। জাকের আলী ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার পক্ষে শাহাদাত হোসেন ৩টি এবং মোশাররফ হোসেন, সাইফ হাসান ও শুভাগত হোম ২টি করে উইকেট নেন। দিনশেষে ওপেনার মজিদের ২১৬ বলে ৮ চার, ৫ ছক্কায় করা ১০৪ রানের সুবাদে ৪ উইকেটে ২৩৬ রান করেছে ঢাকা। মজিদ আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর রকিবুল হাসান ৪০ ও শুভাগত ৩০ রান করেন। সিলেটের এনামুল হক জুনিয়র ২টি উইকেট নিয়েছেন।
×