ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

রশিদকে চাপে রাখছেন মুজিব!

প্রকাশিত: ০৫:০০, ১১ জুন ২০১৮

 রশিদকে চাপে রাখছেন মুজিব!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবিশ্বাস্য আফগানিস্তান ক্রিকেট। তারচেয়েও অবিশ্বাস্য দেশটির স্পিন আক্রমণ। সেনসেশনাল রশিদ খান তো টি২০ র‌্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান বোলার। গ্রেট শেন ওয়ার্ন তাকে সময়ের সেরা লেগস্পিনারের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে আফগানিস্তান এমন সব স্পিনারের জন্ম দিচ্ছে রশিদ নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি চাপে আছেন। বিশেষ করে আরেক তরুণ মুজিব-উর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি, ‘এটা দারুণ ব্যাপার যে আমাদের দেশ থেকে বিশ্বমানের সব স্পিনার উঠে আসছে। অধিনায়ক (আসগর স্টানিকজাই) বলেছেন, আমাদের চেয়ে আমাদের স্পিন আক্রমণ সমৃদ্ধ। আমি তার সঙ্গে পুরোপুরি একমত। মুজিব ইতোমধ্যে নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করেছে। আরও একাধিক তরুণ স্পিনার সুযোগের অপেক্ষায়।’ এবার সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএল অভিষেকের রেকর্ড গড়েন আফগান এ ক্রিকেটার। মাত্র ১৭ বছর ১১ দিন বয়সে অভিষিক্ত মুজিব ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএল খেলার নতুন রেকর্ড গড়েন। আইপিএলে আগের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় ছিলেন ভারতীয় সরফরাজ খান (১৭ বছর ১৭৭ দিন)। মুজিবের অভিষেকটাও হয়েছে স্বপ্নের মতো। নিজের তৃতীয় বলেই পেয়েছেন প্রথম উইকেট। ক্যারিবীয় তারকা ক্রিস গেইলকে পেছনে ফেলে পাঞ্জাবের একাদশে সুযোগ পেয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। সেদিন শেষ পর্যন্ত তার দলও পেয়েছিল বড় ব্যবধানের জয়। আফগানিস্তানের খেলোয়াড় কিংবা বয়স কম বলে কিন্তু মুজিবকে কম দামে কেনেনি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ৪ কোটি রুপীতে তাকে নিয়েছিল প্রীতি জিনতার মালিকানাধীন এ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সম্প্রতি টি২০ সিরিজে বাংলাদেশকে ভোগানো তরুণ স্পিনার নিজেও টেস্টের জন্য অধীর হয়ে আছেন, ‘ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক প্রথম টেস্ট খেলতে অধীর হয়ে আছি। সুযোগ পেলে সেটি স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’ বলেন মুজিব। ১৪ জুন ব্যাঙ্গালুরুতে নিজেদের ঐতিহাসিক অভিষেক টেস্টে আফগানদের প্রতিপক্ষ শক্তিধর ভারত। ক্ষুরধার স্পিন আক্রমণের জন্যই চমক দেখানোর অপেক্ষায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। অধিনায়ক স্টানিকজাই যেমন বলেন, ‘সারাবিশ্ব জানে যে, আমাদের রশিদ, মুজিব, নবীরা বিশ্বমানের স্পিনার। আফগানিস্তানের জন্য সবচেয়ে স্বস্তির ব্যাপার হলো, আমরা যতো তরুণ প্রতিভা পাচ্ছি তার বেশিরভাগই স্পিনার। কারণ তারা নবী ও রশিদকে ফলো করে। এ কারণেই আমাদের স্পিন বিভাগ আগে থেকেই শক্তিশালী। আমার ব্যক্তিগত মত হলো, আমাদের স্পিনাররা ভারতীয় স্পিনারদের চেয়েও শক্তিশালী।’ রশিদ যদি হন আফগানিস্তানের স্পিন শক্তির মূলে, তবে তারচেয়ে কম নন রহস্যময় স্পিনার মুজিব উর রহমানও। দু’জন আবার দুই ধরনের স্পিনার। তৃতীয় ধরন নিয়ে তাদের সঙ্গে আছেন বাঁহাতি রিস্টস্পিনার জহির খান। আছে বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার আমির হামজাও। চারজন চার ধরনের স্পিনার। এই শক্তিতে বাড়তি শক্তি যোগ করার জন্য আছেন মোহম্মদ নবী। সব মিলিয়ে যে কোন দলের বিপক্ষেই সমীহ জাগানিয়া স্পিন আক্রমণ এটি। এদের মধ্যে কেবল চায়নাম্যান জহির খান এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি। কিন্তু আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে সাত ম্যাচে ৩৪ উইকেট নিয়ে নিজের ক্ষমতা ঠিকই জানান দিয়েছেন। এই স্পিন বিভাগ ব্যাঙ্গালুরুতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একটা আপসেটও ঘটিয়ে দিতে পারে।
×