স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী আব্দুল্লাহপুরে বিআরটিসি বাসের চাপায় বাম পা হারানো আতিকুন নেছা স্বস্তিকে (৫০) শ্যামলীর ট্রমা হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়েছে। জানা গেছে, আহত আতিকুন ময়মনসিংহে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তার স্বামীর নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসায় থাকেন। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী তিনি।
আহতের মেয়ে জামাই তারেক হোসেন প্লাবন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তার শ্বশুর রফিকুল ও শাশুড়ি আতিকুন নেছা টঙ্গী থেকে বিআরটিসির বাস যোগে উত্তরার বাসায় ফিরছিলেন। আব্দুল্লাহপুর মোড়ে শাশুড়ি আতিকুন নেছা বাস থেকে নামার সময় এক পা ফেলার পর অন্য পা ফেলার আগেই বাসটি টান দেয়। এতে তিনি বাস থেকে রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় বাসটি তার বাম পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। বাম পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত থেঁতলে যায়। তিনি জানান, পরে শাশুড়ি আতিকুন নেছাকে উদ্ধার করে প্রথমে আধুনিক হাসপাতালে। পরে পঙ্গু হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শ্যামলীর ট্রমা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এখানে রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে তার পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা। এরপর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। প্লাবন বলেন, এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের করার সময় পায়নি। তবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘটনার সময় চালক ও হেলপারকে সাধারণ জনগণ গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রো- ব ১৪-৪৬৪৩ নাম্বার বাসটি থানায় আটক আছে। এখনও কোন মামলা হয়নি। সম্ভবত তারা রোগী নিয়ে ব্যস্ত। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ ঘটনায় চালক এবং হেলপার কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান তিনি।