ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে ওয়ার্নারও শাস্তি মেনে নিলেন

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৬ এপ্রিল ২০১৮

অবশেষে ওয়ার্নারও শাস্তি মেনে  নিলেন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও তরুণ ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফট মেনে নিয়েছিলেন নিজেদের দোষ। তারা অপরাধ স্বীকার করে কেঁদেছেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে কলঙ্কিত বল টেম্পারিংয়ের মূল কুশীলব হিসেবে যার দিকে সব অভিযোগের আঙ্গুল সেই ডেভিড ওয়ার্নার দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু নিজের দোষটাকে স্বীকার করেননি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এ ওপেনারকে ১ বছরের জন্য সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে। এবার ওয়ার্নার পথ অনুসরণ করলেন স্মিথ ও ব্যানক্রফটের। নিজের ওপর আরোপিত শাস্তি মেনে নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানালেন নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে আপীলও করবেন না তিনি। যদিও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) সিএ’কে আহ্বান জানিয়েছে শাস্তির পরিমাণ কমানোর। সারাবিশ্বে তোলপাড় তৈরি করের্ছিল কেপটাউন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের বল টেম্পারিংয়ের ঘটনা। এরচেয়ে বড় বিষয় সংবাদ সম্মেলনে তা অকপটে স্বীকার করেছিলেন অসি অধিনায়ক স্মিথ। তখনই মূলত ব্যাপকতা পায় এই সমালোচনা। আইসিসি বড় কোন শাস্তি না দিতে পারলেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা এবং দেশের মানুষকে লজ্জায় ফেলার জন্য ১ বছরের জন্য সবধরনের ক্রিকেট থেকে স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এবং ৯ মাসের জন্য ব্যাকক্রফটকে নিষিদ্ধ করে সিএ। সিএ এই ঘোষণা দেয়ার পরই ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফট নিজেদের দোষ স্বীকার করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বিশেষ করে স্মিথের সংবাদ সম্মেলনে অবদমিত কান্না আটকানোর প্রচেষ্টা ও আবেগ দেখে সবাই তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন। বুধবার স্মিথ ও ব্যানক্রফট জানিয়ে দেন আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তারা কোন আপীল করবেন না। শাস্তি মেনে নিয়েছেন তারা। একেবারে শেষ মুহূর্তে ওয়ার্নারও তা মেনে নিলেন। নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপীল করবেন কিনা সেটা জানানোর ডেডলাইন পেরোনোর মাত্র ঘণ্টাখানেক আগে ওয়ার্নার শাস্তি মেনে নেন। সিএ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল শাস্তির বিপক্ষে আপীল করার। সেক্ষেত্রে শুনানি অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু স্মিথ ও ব্যানক্রফটের পর ওয়ার্নারও সেই ঝামেলায় যাননি। সরে গেছেন আপীল করার পথ থেকে। এ বিষয়ে টুইটারে ওয়ার্নার লিখেছেন, ‘আমি আজ সিএকে জানিয়ে দিয়েছি যে শাস্তি আমার ওপর আরোপ করা হয়েছে তা মেনে নিয়েছি। আমি সত্যিই আমার কার্যকলাপের জন্য দুঃখিত। ভাল একজন মানুষ হওয়ার জন্য যা করতে হবে তার সবকিছুই করব আমি এখন থেকে।’ সিএ প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দৃষ্টান্তমূলকভাবে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে যাকে হাল্কাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘কেপটাউনের ঘটনা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে ক্রিকেট খেলাটিকে। আমরা নিশ্চিত যে খেলোয়াড়রা এখন শুধু ভালবাসার সঙ্গে খেলা নিয়েই মগ্ন থাকবে এবং সেটার মাধ্যমে ক্যারিয়ারটাকে পুনর্নির্মাণ করবে ও ভক্তদের বিশ্বাস, আস্থা অর্জন করতে পারবে।’ অবশ্য ওয়ার্নার শাস্তিটাকে দেরিতে মেনে নিলেও স্মিথ ও ব্যানক্রফটের মতোই দেশে ফেরার পর কেপটাউন ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ক্রন্দনরত অবস্থায়। ৩১ বছর বয়সী ওয়ার্নার এমনকি এটাও জানিয়েছেন যেহেতু তাকেই এই ঘটনার মূল কুশীলব হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাই তিনি আর অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতেই হয়তো খেলবেন না। অবশ্য বরাবরের মতোই ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে এসিএ শাস্তির পরিমাণ হ্রাস করার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু তাদের এই দাবিটা হয়তো তেমন জোরালো হবে না যেহেতু তিন ক্রিকেটারই নিজেদের শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছেন।
×