ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সবকিছুর জন্য দায়ী ডেভিড ওয়ার্নারের স্ত্রী!

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২ এপ্রিল ২০১৮

সবকিছুর জন্য দায়ী ডেভিড ওয়ার্নারের স্ত্রী!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নাইট ক্লাব, মদ, নারীÑ অস্ট্রেলিয়া দলে ডাক পাওয়ার সময়ও এসবের জন্য ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। বাজে অভ্যাস, উদ্দাম জীবনযাপন; তুমুল প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই এ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মতো তার ক্যারিয়ারের স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। ক্যানডিসকে বিয়ের পর রাতারাতি বদলে যায় সবকিছু। নিয়ন্ত্রিত জীবনে ফিরে আসার কৃতিত্বটা ওয়ার্নার তার স্ত্রীকেই দিয়েছিলেন। বল টেম্পারিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ স্বামী যখন আজ দিশেহারা, দিগভ্রান্ত আবেগাপ্লুত স্ত্রী বললেন, এসব কিছুর জন্য তিনিই দায়ী। ‘মনে হচ্ছে সব ভুল আমারই এবং এটা ভেবে শেষ হয়ে যাচ্ছি, সত্যিই শেষ হয়ে যাচ্ছি। আমি ভাল নেই। সবাই যদি বুঝতে পারত... যে মাসটা সে পার করল সেটা বুঝে সবাই যদি একটু সমব্যথী হতো। স্ত্রী হিসেবে আমি এ কষ্ট সইতে পারছি না। মনে হচ্ছে সব দোষ আমারই।’ বলেন ক্যানডিস। ওয়ার্নারের সঙ্গে পরিচয়ের বেশ আগে নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড় সনি বিল উইলিয়ামসের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার দর্শকরা এ ব্যাপারে ওয়ার্নার ও তার স্ত্রীকে মানসিকভাবে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল। টেস্ট চলাকালে ক্যানডিস নিজেও এ নিয়ে দর্শকদের বিদ্রƒপের শিকার হন। দর্শকদের অনেকে আবার বিলের মুখোশ পরে এসেছিল। ‘মুখোশ পরে আমার দিকে ইঙ্গিত করা, বিদ্রƒপ করতে আমাকে নিয়ে গান গাওয়াÑ সেখানে (মাঠ) বসে আমাকে এসব সহ্য করতে হয়েছে। খেলা শেষে ডেভ বাসায় ফিরে দেখত আমি শোয়ার ঘরে কাঁদছি। আর মেয়েরা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকত। এসবের মধ্য দিয়েই তাকে (ওয়ার্নার) যেতে হয়েছে। আজ যেমন বাসার কক্ষে বসে কাঁদছিলাম, মেয়েদেরও মন খারাপ। তারা বলতে চায় ‘মা, তুমি কাঁদছ কেন?’ একটা কিছু বলে বোঝাতে হয়েছে... তবে ওদের বোঝানো সত্যিই অনেক কঠিন। বুঝতে চায় না।’ ক্যানডিস বোঝাতে চেয়েছেন, এসব মিলিয়ে প্রচ চাপে ছিলেন তারা। ওয়ার্নারও মানসিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত। আর তাই হয়তো জিততে মরিয়া হতে গিয়ে বল টেম্পারিং করেছেন। তবে স্বামীর ভুলের জন্য ক্যানডিস কোন অজুহাত দেননি। শুধু এতটুকু বলেছেন, ‘ডেভ যতটা সম্ভব আমাকে এবং বাচ্চাদের সুরক্ষার চেষ্টা করেছে।’ ঘটনা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপটাউন টেস্টের তৃতীয়দিনের। মাঠে সিরিশ কাগজ দিয়ে বল ঘষেন ফিল্ডার ক্যামেরন ব্যনক্রফট। ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে সংবাদ মাধ্যমের কাছে টেম্পারিংয়ের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ওয়ার্নারকেই ওই ঘটনার নাটের গুরু বলে মনে করা হয়। দু’জনই এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। ব্যানক্রফট নয় মাস। দেশে ফিরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্মিথ, সেটি সইতে না পেরে নির্দোষ কোচ ড্যারেন লেহম্যানও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। পরদিন ওয়ার্নারও সংবাদ সম্মেলনে বাচ্চাদের মতো হাউ-মাউ করে কান্না করেন। দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্যানডিস আরও বলেন, ‘আমি জানি অস্ট্রেলিয়ানরা কতটা ব্যথিত হয়েছে। এ জন্য আমরা দুঃখিত।’ প্রথম টেস্টের চতুর্থদিনের চা-বিরতির সময় যখন মাঠ থেকে ড্রেসিং রুমে ফিরছিলেন দুই দলের ক্রিকেটার, তখন সিঁড়িতে কুইন্টন ডি’ককের ওপর তেড়ে যান ওয়ার্নার। সেই ঘটনা আবার সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। পরে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ওয়ার্নারের দাবি, ডি কক তার স্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিলেন।
×