ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফাইনালে ওস্টাপেঙ্কো-স্টিফেন্সের লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৩১ মার্চ ২০১৮

ফাইনালে ওস্টাপেঙ্কো-স্টিফেন্সের লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মায়ামি ওপেন টেনিসের মহিলা এককের ফাইনালে উঠেছেন ষষ্ঠ বাছাই জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো এবং ত্রয়োদশ বাছাই স্লোয়ানে স্টিফেন্স। দুর্দান্ত খেলেই ফাইনালের টিকেট কাটেন তারা। টুর্নামেন্টের শেষ চারে ইউএস ওপেনের চ্যাম্পিয়ন স্লোয়ানে স্টিফেন্স কঠিন লড়াইয়ের পর পরাজিত করেন বেলারুশ সুন্দরী ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাকে। আর দিনের অন্য ম্যাচে ফ্রেঞ্চ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো যুক্তরাষ্ট্রের ড্যানিয়েলে কোলিন্সকে বিদায় করে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আজ ওস্টাপেঙ্কোর মুখোমুখি হবেন স্লোয়ানে স্টিফেন্স। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন ওস্টাপেঙ্কো ও অবাছাই যুক্তরাষ্ট্রের ড্যানিয়েলে কোলিন্স। প্রথম সেটে দুর্দান্ত লড়াই হয় ওস্টাপেঙ্কো আর কোলিন্সের মধ্যে। ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। কিন্তু সেখানে বাজিমাত করেন লাটভিয়ার ওস্টাপেঙ্কো। ৭-৬ (৭/১) গেমে প্রথম সেট জিতে নেন তিনি। প্রথম সেট জিততে ঘাম ঝরানো লাগলেও দ্বিতীয় সেটে কোলিন্সকে দাঁড়াতেই দেননি ফ্রেঞ্চ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন ওস্টাপেঙ্কো। ৬-৩ গেমে দ্বিতীয় সেট জিতে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন তিনি। ২০০৯ সালের পর কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে মায়ামির ফাইনালে উঠলেন ২০ বছর বয়সী ওস্টাপেঙ্কো। তার আগে ২০০৯ সালে ১৯ বছর বয়সে মায়ামির ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছিলেন বেলারুশের ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। গত বছর হঠাৎ করেই বিশ্ব টেনিসের পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসেন ওস্টাপেঙ্কো। দুর্দান্ত পারফর্মেন্স উপহার দিয়েই ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে জায়গা করে নেন তিনি। সেই সঙ্গে গড়েন নতুন ইতিহাস। লাটভিয়ার ইতিহাসে প্রথম প্রমীলা খেলোয়াড় হিসেবে কোন গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পান তিনি। তবে পারফর্মেন্সের সেই ধারাবাহিকতা খুব বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি লাটভিয়ার এই টেনিস তারকা। তবে মায়ামিতে শুরু থেকেই অসাধারণ খেলছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে ড্যানিয়েলেকে হারিয়ে মায়ামি ওপেনের ফাইনালে উঠে দারুণ রোমাঞ্চিত ওস্টাপেঙ্কো। ম্যাচের শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ফাইনালে উঠে আমি সত্যিই খুব খুশি। আগে থেকেই জানতাম ড্যানিয়েলে খুব ভাল টেনিস খেলছে। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি নিজের খেলাটাই উপহার দিতে। পুরো ম্যাচেই খুব শান্ত ছিলাম। এই সময়ে আমি মানসিকভাবে কাজ করছি। সেটাও এই ম্যাচে খুব কাজে দিয়েছে।’ টুর্নামেন্টের আরেক সেমিফাইনালে স্লোয়ানে স্টিফেন্সের কাছে হারের লজ্জা পেয়েছেন তিনবার মায়ামির শিরোপা জয় করা বেলারুরশের আজারেঙ্কা। অবশ্য জয় দিয়ে সেমির লড়াই শুরু করেছিলেন তিনি। ৬-৩ গেমে প্রথম সেট জিতে নেন আজারেঙ্কা। প্রথম সেট হারলেও হাল ছাড়েননি ইউএস ওপেনের চ্যাম্পিয়ন স্টিফেন্স। পরের দুই সেটে সেরা পারফর্মেন্স দিয়ে ফাইনালে নিজের নাম লেখান স্টিফেন্স। ৬-২ ও ৬-১ গেমে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেট জিতে নেন স্টিফেন্স। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত স্লোয়ানে স্টিফেন্স।
×