ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্মিথ শেখেন সবার কাছ থেকেই

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

স্মিথ শেখেন সবার কাছ থেকেই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ, জো রুট ও কেন উইলিয়ামসন- সময়ের সেরা চার ক্রিকেটার। সবাই নিজ নিজ দলের অধিনায়কের দায়িত্বে। নেতৃত্ব-ব্যাটিং, সাফল্য মিলিয়ে এদের বলা হয় ‘ফ্যান্টাস্টিক’ ফোর। কে কার চেয়ে এগিয়ে, ভক্তদের মাঝে সেটি নিয়ে চলে বিতর্ক। এর মধ্যে স্মিথ-কোহলি আবার অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। দু’জনের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে অন্যরা যখন লড়াইয়ে, খোদ স্মিথ তখন জানিয়েছেন কোহলির কাছ থেকেও শেখেন তিনি। এমনকি উইলিয়ামসন আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের কাছ থেকেও। স্পিন বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ব্যাট হাতে কোহলি সবসময়ই সাবলীল। সেটা দেশের মাটিতে হোক আর বিদেশের মাটিতে। ভারত অধিনায়কের এই কৌশল রপ্ত করছেন স্মিথ। সংবাদ মাধ্যমকে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন তিনি। বিশ্ব ক্রিকেটে বর্তমান যুগে দাপট দেখিয়ে চলেছেন যে চার তরুণ অধিনায়ক সেই বিরাট কোহালি, স্টিভেন স্মিথ, জো রুট এবং কেন উইলিয়ামসনদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই কিছু না কিছু শিখছেন স্মিথ, ‘বিশ্বের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং আমি দেখি। প্রত্যেকের থেকেই কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করি। কোহলি কিভাবে স্পিনারদের খেলে সেটা আমি খুব মন দিয়ে লক্ষ্য করি। স্পিন খেলার সময় আমার কব্জির মোচড় থেকে শুরু করে ফুটওয়ার্ক, অনেকটাই কোহলিকে দেখেই শেখা।’ এশিয়ার পিচে খেলার সময় নিজের টেকনিকেও অনেক বদল আনতে হয়েছে স্মিথকে। যা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভারতে বল কম বাউন্স করার কারণে ব্যাটের কানায় লাগার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই বাইরের বল তাড়া করতেও বেশি অসুবিধে হয় না। অস্ট্রেলিয়া অথবা দক্ষিণ আফ্রিকায় যা সত্যিই অসম্ভব।’ অসি ক্যাপ্টেন আরও বলেন, ‘ডি ভিলিয়ার্সের মতো আমি ক্রিজটা ব্যবহার করার চেষ্টা করি। যেভাবে ও পিছনের পায়ে গিয়ে বল খেলার চেষ্টা করে, আমিও সেভাবেই চেষ্টা করি।’ আর উইলিয়ামসনের ব্যাপারে স্মিথ বলেছেন, ‘উইলিয়ামসন বেশ দেরিতে, সময় নিয়ে বল খেলতে পারে। আমি বেশ কিছুদিন ধরে সেটা চেষ্টা করছি। ও দুর্দান্ত একজন ব্যাটসম্যান।’ স্মিথ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) বর্ষসেরার ‘এ্যালান বোর্ডার মেডেল’ জিতে নিয়েছেন। ২০১৭ সালের পারফর্মেন্সের বিচারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি’র বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারও নির্বাচিত হন স্মিথ। ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দুই সিরিজে দাপুটে নৈপুণ্য প্রদর্শন করে ৬ ভোটের ব্যবধানে তারকা স্পিনার নাথান লেয়নকে পেছনে ফেলে সিএ’র বর্ষসেরা হন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। সবধরনের আন্তর্জাতিক ফরমেটে গত এক বছরে ৬৭.৪৪ গড়ে ১ হাজার ৭৫৪ রান করেছেন স্মিথ। এ্যালান বোর্ডার পদক জয়ের ভোটেও ছিল তাই একচ্ছত্র আধিপত্য, পেয়েছেন ২৪৬ ভোট। তিনি টপকে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার (১৬২) ও লেয়নকে (১৫৬)। ২০১৫ সালের পর এই নিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হন স্মিথ। গত বছরের ৮ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পারফর্মেন্স বিবেচনা করা হয়। এই সময়ে স্মিথ তিন ফরমেট মিলিয়ে সবার ওপরে। তবে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন টেস্টে। ১১ ম্যাচে ৮১.৫৬ গড়ে ৬টি সেঞ্চুরিসহ করেছেন ১ হাজার ৩০৫ রান। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইনিংসটি খেলেছেন পার্থে গত ডিসেম্বরে, এ্যাশেজের তৃতীয় ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ২৩৯ রান করেন স্মিথ।
×