ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্ট. আবাহনী ৪-২ শেখ রাসেল

শেখ রাসেলকে হারিয়ে সেমিতে চট্টগ্রাম আবাহনী

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শেখ রাসেলকে হারিয়ে সেমিতে চট্টগ্রাম আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফুটবল গোলের খেলা। তবে খেলায় যদি গোলই না হয় বা মাত্র একটি গোল হয় তাহলে খেলা দেখে মন যেন ভরে না দর্শকদের। তবে শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যেসব দর্শক স্বাধীনতা কাপের খেলা দেখতে এসেছিলেন তাদের মন ঠিকই ভরেছে। হয়েছে গাঁটের পয়সা উসুল। কেননা এই ম্যাচে গোল হয়েছে অর্ধডজন। যাতে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেডকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। আক্রমণাত্মক ফুটবলের অনুপম প্রদর্শনীতে মুগ্ধ হয়েছে দর্শক। খেলার প্রথমার্ধে বিজয়ী দল ৪-১ গোলে এগিয়ে ছিল। এই জয়ে চলমান আসরের চতুর্থ ও সর্বশেষ দল হিসেবে শেষ চারে খেলা নিশ্চিত করেছে বন্দরনগরীর দল খ্যাত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি একই মাঠে বিকেল চারটায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তারা মোকাবেলা করবে পুরনো ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির। তার আগে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম সেমিফাইনালে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব মোকাবেলা করবে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের। আজ রবিবার স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের কোন খেলা নেই বিরতি। মজার ব্যাপারÑ স্বাধীনতা কাপের গত আসরেও একই ব্যবধানে ‘বেঙ্গল ব্লুজ’ খ্যাত শেখ রাসেলকে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। তবে সেটি ছিল সেমিফাইনালের ম্যাচ এবং ফল নিষ্পত্তি হয়েছিল টাইব্রেকারে (নির্ধারিত সময়ে খেলা ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে)। শনিবারের ম্যাচে কর্নার পায় চট্টগ্রাম আবাহনী ১০টি এবং রাসেল ৫টি করে। তবে আক্রমণ সংখ্যায় এগিয়ে ছিল রাসেল (১৪৪-১৩৬)। বিপজ্জনক আক্রমণেও এগিয়ে ছিল রাসেল (১৪৬-২২)। অন টার্গেটে শট নেয়ার বেলাতে এগিয়ে আবার আবাহনী (৫-৪)। বল নিয়ন্ত্রণেও তাই (৫১%-৪৯%)। ৯ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ আর উত্তম কুমার বণিকের ভুল বোঝাবুঝিতে বল পেয়ে যান আবাহনীর তৌহিদুল আলম সবুজ। বল পেয়ে দর্শনীয় ভলিতে কাঁপান রাসেলের জাল (১-০)। তবে তিন মিনিট পরেই সমতায় ফেরে রাসেল। ১২ মিনিটে খালেকুরজামান সবুজের ক্রসে বক্সে বল পেয়ে লাফিয়ে উঠে বাঁকানো শটে অসাধারণ এক গোল করেন শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড মেহবুব হাসান নয়ন (১-১)। ১৮ মিনিটে আবারও নিজেদের এগিয়ে নেয় চট্টলার দলটি। আব্দুল্লাহর ক্রসে রাসেলের জালে বল পাঠাতে ভুল করেননি মিডফিল্ডার সোহেল রানা (২-১)। ৪৩ মিনিটে আরেকটি বিশ্বমানের গোল প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পান দর্শকরা। বক্সের বাম কোণার কাছেই ফ্রি কিক পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। কোনকোনি শটে সরাসরি পোস্টে বল পাঠান উদীয়মান মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩-১)। তখন চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক মোস্তাকের। ৪৫ মিনিটে আরও এক গোল আদায় করে নেয় বন্দরনগরীর দলটি। আব্দুল্লাহর ফ্রি কিক থেকে প্রায় ফাঁকা পোস্টে হেডে গোল করেন ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত হোসেন রনি (৪-১)। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে গেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধে এসে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে দু’দলই। তবে ৭৩ মিনিটে ব্যবধান কিছুটা কমায় শেখ রাসেল। তাদের একটি আক্রমণ ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। ফিরতি বলে দুইবারের প্রচেষ্টায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন রাসেলের বদলি ডিফেন্ডার জাভেদ (৪-২)। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফেরা হয়নি রাসেলের। তাই হারের দুঃখ নিয়েই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে এই আসরে ২০১২ সালে শিরোপা জেতা রাসেল।
×