ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১২ ফেব্রুয়ারী দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক জাতীয় কমিটির

প্রকাশিত: ০২:০০, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

১২ ফেব্রুয়ারী দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক জাতীয় কমিটির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রামপাল প্রকল্প বাতিল, বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে জাতীয় সক্ষমতার বিকাশ, রাষ্ট্রায়ত্ব বিদ্যুৎ খাত রক্ষা, জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনা বাস্তাবায়ন ও ফুলবাড়িতে জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের ডাক দিয়েছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। শনিবার তোপখানা রোডস্থ নির্মল সেন মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মোশারেফ হোসেন নান্নু, মোফাজ্জেল হোসেন মোস্তাক, মাহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, মিজানুর রহমান, মমিনুর রহমান, খোরশেদ আলম প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘গ্যাস সম্পদ অনুসন্ধানে জাতীয় সক্ষমতার পথে নানা বিঘœ সৃষ্টি করে সরকার ব্যয়বহুল এলএনজি আমাদানি এবং এলপিজি’র উপর নির্ভরতা সৃষ্টি করছে। দেশ-বিদেশের সকল তথ্য গবেষণা ও প্রবল জনমত সত্ত্বেও সরকার এখনও সুন্দরবনবিনাশী রামপাল প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ব বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতি না ঘটিয়ে ব্যয়বহুল বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিশাল ঋণ ও মহাবিপদের ঝুকি সত্ত্বেও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। জাতীয় কমিটিসহ বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে যেসব প্রশ্ন তুলেছে তার কোন যুক্তিসঙ্গত গ্রহণযোগ্য উত্তর দিচ্ছে না সরকার।’ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, কম ব্যায়ে, পরিবেশ সম্মতভাবে যে বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান সম্ভব তা দেশের বিশেষজ্ঞ এবং জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনায় দেখানো হয়েছে। অথচ এ বিষয়ে সরকার নীরব থেকে লুটপাটের ধারা অব্যাহত রেখে চলেছে। তাই এর বিরুদ্ধে সচেতন দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সভায় নেতৃবৃন্দ ফুলবাড়িতে জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। সাবেক ৪৬ নেতার বিবৃতি বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের ৪৬ জন সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক বিবৃতিতে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, অতীতেও সরকার সমর্থকদের ছাত্র সংগঠন এ ধরনের নির্লজ্জ সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনা করেছে। এর পরিণতি মোটেও সুখকর হয়নি। বিবৃতিতে সাবেক এই ছাত্রনেতারা বলেছেন, মুক্ত চিন্তার সূতিকাগার খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের কার্যক্রম সচল ও ডাকসু নির্বাচন দিতে উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা। একই সাথে এসব দাবি আদায়ের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন ডা: মুশতাক হোসেন, আনোয়ারুল হক, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, মোশরেফা মিশু, বেলাল চৌধুরী, রাগিব আহসান মুন্না, রাজেকুজ্জামান রতন, আসলাম খান, হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল, ড মঞ্জুরে খোদা টরিক, হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, শরীফুজ্জামান শরীফ, খালেকুজ্জামান লিপন, লুনা নূর, বাকি বিল্লাহ, শরিফুল কবীর স্বপন, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, মানবেন্দ্র দেব, ফিরোজ আহমেদ, তসলিমা আখতার লিমা, ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, এসএম শুভ, রফিকুল ইসলাম সুজন, আবু নাসের অনিক, শেখ আব্দুল কাদের, শাহেদ হুদা রজত, নজরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, আশরাফুল হক মুকুল, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, জুলহাসনাইন বাবু, মনিরুদ্দিন পাপ্পু, আরিফুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান সমুদ্র, নিখিল দাস, শামসুল আলম সজ্জন, শহীদুল ইসলাম সবুজ, জনার্দ্দন দত্ত নান্টু, বাপ্পাদিত্য বসু, আবুল কালাম আজাদ, সাইফুজ্জামান সাকন, হুসাইন আহমেদ তফসির, হাসান তারেক, লাকী আক্তার, সৈকত মল্লিক।
×