স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জোহানেসবার্গে ঠিক ভারতের পথেই হাঁটল দক্ষিণ আফ্রিকা। বুধবার শুরু হওয়া তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮৭ রানেই অলআউট হয়েছিল বিরাট কোহলির দল। দ্বিতীয়দিনে ১২৫ রানে দক্ষিণ আফ্রিকারও প্রথম সারির ছয় ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলে নেয় ভারত। এর ফলে মনে হচ্ছিল স্কোরটাকে খুব বড় করতে পারবে না প্রোটিয়ারাও। কিন্তু বিপর্যস্ত এই দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেখান থেকেই টেনে তোলার দায়িত্ব নেন হাসিম আমলা। বৃহস্পতিবার তার ৬১ রানের লড়াকু ইনিংসের সৌজন্যেই মান বাঁচে স্বাগতিকদের। প্রথম ইনিংসে ৬৫.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সঙ্গে ৭ রানের লিড নেয় স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দুই টেস্টেই লজ্জাজনকভাবে হার মানে ভারত। যে কারণে তৃতীয় টেস্টটা শুধুই নিয়মরক্ষার। তবে জোহানেসবার্গেও অবশ্য খুব সুবিধে করতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। রাবাদা-ফিল্যান্ডারদের বোলিং নৈপুণ্যে মাত্র ১৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। তৃতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন ছন্নছাড়া। দলীয় ১৬ রানেই সাজঘরে ফিরে যান প্রোটিয়াদের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্করাম এবং এলগার। এরপর হাসিম আমলার সঙ্গে রাবাদা দলকে শক্ত ভিত্তি গড়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হয়ে যান রাবাদা। তবে লড়াই চালিয়ে যান আমলা। এদিন তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডু প্লেসিস এবং কুইন্টন ডি ককের মতো ব্যাটসম্যানরাও। তবে ৩৫ রান করে আমলাকে এদিন দারুণভাবে সময় দেন লেজের সারির ব্যাটসম্যান ভারনন ফিল্যান্ডের। মূলত আমলা-ফিল্যান্ডারের ব্যাটেই এদিন ৭ রানের লিড নিতে সক্ষম হয় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। আর প্রোটিয়াদের দু ’শর নিচে বেঁধে রাখতে এদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জ্যাসপ্রিত বুমরা এবং ভুবনেশ্বর কুমার। ৫৪ রানে ৫ উইকেট নেন বুমরা। আর ৪৪ রানে ৩ উইকেট লাভ করেন ভুবনেশ্বর কুমার।
শীর্ষ সংবাদ: