ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিভাবান তরুণ পাওয়ার আশা

যুব গেমসের বিভাগীয় লড়াই শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৮ জানুয়ারি ২০১৮

 যুব গেমসের বিভাগীয় লড়াই শুরু আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জেলা পর্যায় থেকে বাছাই করার পর বাংলাদেশ যুব গেমসের মূল পর্ব অর্থাৎ বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা শুরু হচ্ছে আজ থেকে। বিভিন্ন জেলা থেকে বাছাইকৃত তিন হাজার ৪৭৩ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হচ্ছে এ যজ্ঞ। বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করেছিল ২৩ হাজার ২১০ জন প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতা উপলক্ষে রবিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিওশনে (বিওএ) সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজকরা। সেখানে টুর্নামেন্টের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব ও যুব গেমসের অর্গানাইজিং কমিটির সেক্রেটারি সৈয়দ শাহেদ রেজা, উপ-মহসচিব ও টুর্নামেন্টের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকুসহ আরও অনেকে। ইতোমধ্যে দেশের সব উপজেলা ও ৬৪ জেলায় একযোগে এ প্রতিযোগিতা হয়েছে। সেখান থেকে এবার বিভাগীয় লড়াইয়ের অপেক্ষা। দলগত ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ১১টি ডিসিপ্লিনে ঢাকা বিভাগের প্রতিযোগিতা হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংলগ্ন সাতটি স্থাপনা, মিরপুর ও বিকেএসপির ভেন্যু। মশাল প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে আজ আসর শূরু হওয়ার পর শেষ হবে ১৩ জানুয়ারি। অবশ্য ঢাকা বিভাগের খেলা শেষ হবে ১০ জানুয়ারি। গেমসের শুভেচ্ছাদূত করা হয়েছে ২০ জন খ্যাতনামা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে। এরমধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এক বার্তায় মাশরাফি বলেন, আমাকে বাংলাদেশ যুব গেমসের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর করার জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ। এটা নতুন একটা মাইফলক। এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের যুব ক্রীড়াবিদদের অলিম্পিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সহায়ত করবে। তেমনি যুবসমাজকে খারাপ কাজ থেকেও দূরে রাখবে। প্রতিযোগীদের বয়স সঠিকভাবে যাচাইবাচাই করা হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ প্রসঙ্গে আশিকুর রহমান মিকু বলেন, বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। বাছাইয়ে খেলোয়াড়দের মান এবং বয়সটাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জেএসসি, পিএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও জন্মনিবন্ধন সনদ দেখে তাদের বয়স সঠিকভাবে নিরূপণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তবে জেলা পর্যায়ে অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা তাদের মান সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাইনি। কিন্তু বিভাগীয় পর্যায়ে সেটা পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করি। জেলা পর্যায়ে অনেক ইভেন্টই হ্যান্ড টাইমিংয়ে হয়েছে। কিন্তু বিভাগীয় পর্যায়ে আমরা আরও ভালো প্রযুক্তি দিয়ে সেটা যাচাই করতে পারব এবং বুঝতে পারব তাদের সঠিক মান। প্রতিটি বিভাগে ২১টি করে ইভেন্টের খেলা হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হচ্ছে না। আর্চারি, উশু, জুডো, বাস্কেটবল, হকি, শূটিং, তায়কোয়ান্ডেÑএই সাতটি ইভেন্টের খেলা মূল পর্বে হবে। এ প্রসঙ্গে মিকু বলেন, অনেক জেলাতেই এই ডিসিপ্লিনের দল বা খেলোয়াড় নেই। যেমন আর্চারি নড়াইল, বাগেরহাটে খেলা হয়। তাই যে ডিসিপ্লিনগুলোতে দল বা খেলোয়াড় কম, তাদেরকে আমরা সরাসরি মূল পর্বে খেলার সুযোগ দিয়েছি। চূড়ান্তভাবে বাছাই হওয়া অ্যাথলেটরা ঝরে পড়বে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তিনি বলেন, যাদেরকে বাছাই করা হবে, তাদেরকে বিভিন্ন ফেডারেশনের মাধ্যমে দেশে ও দেশের বাইরে অনুশীলনের সুযোগ করে দেয়া হবে। শাহেদ রেজা বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যুব গেমস করার। যা ২০১৭ সালে শুরু ও ২০১৮ সালে শেষ হবে। আমরা সেটা পেরেছি। এ গেমসের মাধ্যমে খেলাধুলার প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারব। স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত এ ধরনের গেমস হয়নি। এ কারণে ভুলত্রুটি থাকবে। আশা করি ভবিষ্যতে আরও ভাল হবে। বিওএ মহাসচিব আশাবাদী, এই গেমসের মাধ্যমে যেসব তরুণ উঠে আসবে তারা ভবিষ্যতে দেশের সুনাম বয়ে আনবে। এ প্রসঙ্গে শাহেদ রেজা বলেন, একই সাথে সারাদেশে খেলা হচ্ছে। যা সবার মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। আশা করি অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসবে। যারা ভবিষ্যতে বিভিন্ন ইভেন্টে দেশের সুনাম বয়ে আনবে। সম্ভাবনাময় এসব তরুণদের ক্যাম্পে রেখে আরও শাণিত করা হবে।
×