ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বডিবিল্ডিংয়ের উন্নতিতে হাসিব হলির উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ২৫ আগস্ট ২০১৭

বডিবিল্ডিংয়ের উন্নতিতে হাসিব হলির উদ্যোগ

রুমেল খান ॥ বডিবিল্ডার হাসিব হলির কথা মনে আছে? ওই যে সুদর্শন যে বডিবিল্ডার গত মধ্য জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে ‘নাব্বা ওয়ার্ল্ড ফিটনেস ফেডারেশন এশিয়া মাসল ওয়ার’ বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অনুর্ধ-২৪ বিভাগে জিতেছিলেন স্বর্ণপদক। এই ধরনের টুর্নামেন্টে এর আগে কোন বাংলাদেশীই অংশ নেননি, কোন পদক পাওয়া তো দূরের কথা। সেখানেই অভিষেকেই বাজিমাত করেন হাসিব। জেতেন ঐতিহাসিক ‘প্রথম’ স্বর্ণপদক। স্বভাবতই এটি বাংলাদেশের বডিবিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ঘটনা। তবে ফেডারেশনের উদ্যোগে সেখানে না যাওয়াতে হাসিবের এই অভাবনীয় সাফল্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এর দুই মাস পরেই তাকে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করে বডিবিল্ডিং ফেডারেশন আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই শাস্তি যেন শাপে বর হয়ে আসে হাসিবের বেলায়। বাংলাদেশের বডিবিল্ডিংকে আন্তর্জাতিক মানে নেয়ার জন্য এবং এদেশের বডিবিল্ডারদের উন্নয়নের জন্য নাব্বা ওয়ার্ল্ড ফিটনেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ সংস্থা চালু করার পরিকল্পনা করেন। এর এশিয়ান হেডকোয়ার্টার হচ্ছে সিঙ্গাপুরে। সবচেয়ে বড় কথা এই সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের কোন সাংঘর্ষিক সমস্যা হবে না। হাসিবের সেই স্বপ্ন প্রায় পূরণ হবার পথে। বুধবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে গণমাধ্যমকর্মীদের এ বিষয়ে জানাতে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি। সেখানে তিনি জানান, ‘নাব্বা ওয়ার্ল্ড ফিটনেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু করার জন্য আমরা ইতোমধ্যেই সিঙ্গাপুরের হেড কোয়ার্টারের অনুমোদন পেয়েছি। এখন আমাদের কিছু পেপারওয়ার্ক বাকি আছে। সেগুলো সম্পন্ন হলেই আমরা বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (এনএসআই) কাছ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাব। আশা করছি ঈদের পরেই আমাদের সংস্থা আত্মপ্রকাশ করব।’ এই সংস্থার কমিটিতে ট্রেজারার হিসেবে কাজ করবেন হাসিব। নাব্বার আইন মেনে ইতোমধ্যে সংস্থার গঠনতন্ত্রও তৈরি হয়ে গেছে। কমিটির মেয়াদ থাকবে চার বছর। এরপর নির্বাচন হবে। এর কাউন্সিলর হবেন বিভিন্ন জিমের মালিকরা। প্রাথমিকভাবে ৩০টির মতো জিম এই সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। অচিরেই সংখ্যাটা আরও বহুলাংশে বাড়বে বলে জনকণ্ঠকে জানান ২৫ বছর বয়সী হাসিব। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে যত ফেডারেশন আছে সেগুলোর বেশিরভাগই আজ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ফলে খেলোয়াড়রা কোন উন্নতি করতে পারছে না। বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের অধীনে কোন উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তারা তো বডিবিল্ডারদের বরং হুমকিস্বরূপই মনে করে। আমাদের সংস্থার লক্ষ্য হচ্ছে বডিবিল্ডারদের আন্তর্জাতিক মানের তৈরি করে তাদের বিদেশে খেলতে পাঠানো এবং সাফল্য কুড়িয়ে আনা।’ নতুন সংস্থার প্রথম পরীক্ষা হবে আগামী ডিসেম্বরে ঢাকায় একটি উন্মুক্ত বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। এতে বিদেশী বডিবিল্ডাররাও অংশ নেবে। প্রো এবং এ্যামেচার দুটি বিভাগেই খেলা হবে। ‘আশাকরি এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য আমরা স্পন্সর পাব’, যোগ করেন বাংলাদেশের প্রথম লেভেল এ্যাডভান্সড সার্টিফাইট ট্রেনার হাসিব (থাইল্যান্ডের পাজলবিল্ডিং একাডেমি থেকে ২০১৬ সালে কোর্স করেন, প্রশিক্ষক পিএইচডি ডিগ্রীধারী ড. সিত্থি)।
×