ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে টেস্ট দলে সুযোগ পেলেন মুমিনুল

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২১ আগস্ট ২০১৭

অবশেষে টেস্ট দলে সুযোগ পেলেন মুমিনুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৭ আগস্ট মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সেই টেস্টের দল থেকে মুমিনুল হককে বাদ দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন নির্বাচক কমিটি ও প্রধান কোচ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে। দল ঘোষণার একদিন পরই মুমিনুল হককে দলে নেয়া হলো। চোখের ইনজুরির জন্য দলের বাইরে ছিটকে পড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আর তাই মুমিনুল দলে জায়গা পেলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে যাওয়ার আগে ঢাকায় যখন প্রস্তুতি হলো তখন চোখের ইনজুরিতে পড়েছিলেন সৈকত। অনুশীলনের সময় চোখে ময়লা ঢুকে যায়। এরপর চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে। এতদিনে ঠিকও হয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলে থাকতে পারলেন না সৈকত। বোঝাই যাচ্ছে এত চাপে মুমিনুলকে দলে যোগ করতে সৈকতকেই বাদ দেয়া হলো। শনিবার যখন দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলন হলো, তখনই প্রশ্নে জর্জরিত হয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও প্রধান কোচ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে। সব প্রশ্ন মুমিনুলকে নিয়ে ধেয়ে যায়। প্রধান নির্বাচক একের পর এক ব্যাখ্যা দিতে থাকেন। একটা পর্যায়ে বলতে বাধ্য হন, ‘আপনারা এভাবে বললেই তো হবে না, আমরা অনেক চিন্তা-ভাবনা করে দল সাজাই।’ এরআগে মুমিনুলকে নিয়ে নান্নু জানান, ‘মুমিনুল জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ পর্যন্ত ৬ ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটি করেছেন, তাকে বাদ দেয়া হয়েছে মূলত সামগ্রিক পারফর্মের কারণে।’ আরও বলেন, ‘তিন নম্বরে আমরা সৌম্য অথবা ইমরুলকে তারচেয়ে এগিয়ে রাখছি।’ সাংবাদিকদের প্রশ্ন এমনভাবেই ধেয়ে যায় যে একটা সময় বলতে বাধ্য হন, ‘তাকে হয়তো প্রথম টেস্টে রাখা হয়নি। দ্বিতীয় টেস্ট কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ডাকা হতে পারে।’ নান্নুর বেহাল দশা হয়। হাতুরাসিংহেরও খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। হাতুরাসিংহেকেও একের পর এক ব্যাখ্যা দিতে হয়। তিনি মুমিনুলকে নিয়ে বলেন, ‘খেলোয়াড় নির্বাচন হয় ধারাবাহিকতার ওপর ভিত্তি করে। আমাদের সর্বশেষ টেস্টে কিছু খেলোয়াড় বাদ পড়েছে। আমি কারও নাম উল্লেখ করছি না, কারণ আমার কাছে দলটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দল নির্বাচনে ধারাবাহিকতা থাকলে সেটা পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের অনেক আত্মবিশ্বাস জোগায়। দল নির্বাচনে ধারাবাহিক থাকতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথম টেস্টে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) হারার পর সর্বশেষ টেস্টে ওরা ভাল খেলেছে।’ হাতুরাসিংহে আরও বলেন, ‘কোচ হিসেবে দায়িত্ব তো আছেই। তবে খেলোয়াড়কেও জানতে হবে তার কি করা উচিত। তারা এটা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছে। কেউ তখনই দলের বাইরে চলে যায় যখন সে পারফর্ম করে না। সবাইকে একইভাবে বিচার করা হচ্ছে।’ হাতুরাসিংহের শেষ বিচারে মুমিনুলের পরিণতি ছিল দল থেকে বাদ দেয়া। যে ব্যাটসম্যান এ মুহূর্তে ব্যাটিং গড়ে দেশের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছে। তাকেই বাদ দেয়া হলো। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হলো। সেই সমালোচনার একদিন যেতেই মুমিনুলকে দলে নেয়া হলো।
×